জাগো জবস

২ বছরে ৫ লাখ টাকার মালিক মাহফুজা

মাহফুজা আক্তার বেড়ে উঠেছেন চাঁদপুর জেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। তবে নারায়ণগঞ্জের সরকারি তোলারাম কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স শেষ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই নিজে কিছু করার ইচ্ছা ছিল। তাই ২০১০ সালে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে নিজের জমানো টাকা দিয়েই ব্যবসা শুরু করেন।

Advertisement

ব্যবসা সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় তেমন কিছু করতে পারেননি। পরে পড়াশোনা শেষে চাকরি পেলেও অফিসের নিয়ম-কানুন মানতে নারাজ তিনি। তাই চাকরি ছেড়ে মন দিয়েছেন ব্যবসায়।

মাত্র ১২ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ‘দেশি নকশি ঘর’ নামে ফেসবুকে পেজ খুলে জামদানি শাড়ির ব্যবসা শুরু করেন মাহফুজা। শুরুর মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে বিক্রি করেন প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার শাড়ি ও থ্রি-পিস। তিনি এ ব্যবসার মাধ্যমে জামদানি শাড়ি বিক্রি করে প্রতিমাসে আয় করেন লক্ষাধিক টাকা। দেশি নকশি ঘরের মাধ্যমে ১৫টি দেশে শাড়ি পাঠিয়েছেন।

নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে মাহফুজা আক্তার একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। সাফল্যের পেছনের গল্প জানালেন তিনি, ‘শুরুর দিকে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী শাড়ি ও থ্রি-পিস দিতে পারতাম না। চাহিদা পূরণের জন্য দিনের পর দিন তাঁতপল্লিতে অনেক ঘুরেছি। এ জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘মাত্র ১২ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে ২ বছর পর এখন মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ লাখ টাকা। বর্তমানে দেশি নকশি ঘরে বেশ কিছু নারীও কাজ করছেন। চেষ্টা করছি ঘরের কোণে বসে থাকা নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে।’

সফল এ উদ্যেক্তা জানান, বাবার অনুপ্রেরণা ও পরিচিতদের সহায়তায় অনলাইনে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। মাহফুজা বিশ্বাস করেন, ধৈর্য ধারণ করে চেষ্টা চালিয়ে গেলে ভালো একটি ফলাফল পাওয়া যায়।

মাহফুজা ব্যবসার মাধ্যমে পেয়েছেন মানুষের ভালোবাসা, পেয়েছেন বিশ্বাস আর সম্মান। এতেই নিজেকে সফল বলে মনে করেন তিনি।

ভবিষ্যতে তার দেশি নকশি ঘরকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখেন তিনি। এ ছাড়াও নিজ দেশের পণ্য বিশ্ববাজারে তুলে ধরার মাধ্যমে সুনাম ছড়িয়ে দিতে চান সফল এ নারী উদ্যোক্তা।

Advertisement

এসইউ/এএসএম