নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চার বছর আজ। বিগত চার বছরে সরকার থেকে নানা ধরনের আশ্বাস দেওয়া হলেও সড়কে মানুষের নিরাপত্তা বাস্তবায়নে কোনো আইনেরই সঠিক প্রয়োগ দেখেনি বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
Advertisement
শুক্রবার (২৯ জুলাই) নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের চার বছর পূর্তিতে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে সড়কে অবস্থান নেয় নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সক্রিয় সংগঠন নিসআ। এসময় আন্দোলনরত সংগঠনের কর্মীরা এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘রাজিব দিয়া হত্যার’ পর আমরা যে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম, সে দাবির একটিও আমরা বাস্তবায়ন হতে দেখিনি। দাবি পূরণ হলে রাস্তায় ঠিকই মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হতো।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া খিলগাঁও মডেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইমামুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যে দাবিগুলো গত চার বছর ধরে জানিয়ে আসছি, সরকার সেগুলো তো বাস্তবায়ন করছেই না বরং সরকার শ্রমিক নেতাদের চাপে যে সড়ক আইন পাস করেছে, সেটাও বাস্তবায়ন করছে না। মাঝে মধ্যে আমরা যখন কোনো একটা দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজপথে নামি, তখনই কোনো একটা বিচারের তোড়জোড় দেখা যায়।
Advertisement
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষা করেই সরকার আইন পাশ করেছে। পরিবহন খাতে সরকারি কর্মকর্তারা মালিকদের সংগঠনদের সঙ্গে যোগসাজশ করেই আইন পাশ করেছে। অথচ তারা সেটিও বাস্তবায়ন করছে না। বলা হয়েছিলো সড়কে ফিটনেসবিহীন কোনো গাড়ি চলবে না। সরকার যখন রাস্তায় অভিযান চালায়, তখন একটা দুইটা গাড়ি খুঁজে পায়। কিন্তু আমরাও নিসআর পক্ষ থেকে সার্ভে করেছি, সেখানে সড়কের ৮০ ভাগ গাড়িই ফিটনেস নেই বলে দেখতে পেয়েছি। অথচ তাতে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
২০১৮ সালের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বেপরোয়া গাড়ির চাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আব্দুল করিম রাজীব নিহত হন। এরপর ‘সহপাঠী হত্যার’ বিচার দাবি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবিতে সবচেয়ে বড় আন্দোলন ছিলো এটি। এর পর থেকেই বিগত চার বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে সড়কে কোনো শিক্ষার্থী গাড়িচাপা পড়লেই আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
এমআইএস/জেএস/এমএস
Advertisement