আগামী মাসের শেষে ঘরের মাঠেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এরপরই ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সুতরাং বড় দুটি টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে আগে-ভাগেই প্রস্তুতিতে নেমেছে টাইগারবাহিনী। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে খুলনায় থেকে গেছে বাংলাদেশ। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে এক সপ্তাহের অনুশীলন ক্যাম্প রোববার প্রস্তুতি ম্যাচে দিয়ে শেষ হয়। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে শুভাগতদের সবুজ দলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করলো মাশরাফির লাল দল।খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে শেষবারের মতো প্রস্তুতি ম্যাচে এদিন মাঠে নামে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারা। ম্যাচে ব্যাটিং ক্যারিশমা দেখান ইমরুল কায়েস আর মো: মিথুন। ইমরুল কায়েস ৯১ রানের বিধ্বংসি অপরাজিত ইনিংস খেলেন। মো: মিথুন করেন ৬৭ রান। এ দু’জনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে শুভাগত হোমের বাংলাদেশ সবুজ দল ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে বাংলাদেশ লাল দলকে।ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের দু’ভাগে বিভক্ত করে প্রস্তুতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ লাল ও বাংলাদেশ সবুজ দল নামে। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ে উন্নতি দেখিয়েছেন ক্রিকেটাররা। পুরো ম্যাচে চারটি অর্ধশত এসেছে। ইমরুল-মিথুন ছাড়াও অর্ধশত রান করেছেন তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।টস জিতে সবুজ দলের অধিনায়ক শুভাগত আগে মাশরাফির লাল দলকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ লাল দল। শুরুতে সৌম্য সরকার আর সাব্বির রহমান ব্যর্থ হলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে তামিম ইকবাল দলের স্কোর বড় করতে থাকেন। দলীয় ৯৪ রানে ব্যাক্তিগত অর্ধশত রানে পৌঁছে আউট হয়ে যান তামিম ইকবাল। ৪৬ বলে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫১ রান করে মুক্তার আলীর বলে শুভাগতর হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর মাহমুদুল্লাহকে সঙ্গ দেন সাকিব আল হাসান। তবে অর্ধশত রানে পৌঁছানোর পর বেশিদূর যেতে পারেননি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও। ৪৪ বলে ৪টি বাউন্ডারি ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করে আবু হায়দার রনির বলে মিথুনের হাতে ক্যাচ দেন মাহমুদুল্লাহ।শেষদিকে অধিনায়ক মাশরাফির ব্যাটেও ঝড় ওঠে। মাশরাফি মাত্র ৪ বল খেলে ২টি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আর সাকিব অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে। ১৫ বলে একটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারি ছিলো তার ইনিংসে। সবুজ দলের বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার রনি নেন ৩ উইকেট। আর একটি করে উইকেট নেন মুক্তার আলী, মো: শহীদ ও কামরুল ইসলাম।১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ সবুজ দলকে উড়ন্ত জয় এনে দেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস আর মো: মিথুন। এদিন এই দুই ব্যাটসম্যানের সামনে মাশরাফির লাল দলের কোন বোলারই পাত্তা পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারেই ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সবুজ দল। দলকে জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে রেখে আউট হয়ে যান মো: মিথুন। আগের প্রস্তুতি ম্যাচেও অর্ধশত রান করা মো: মিথুন এদিন করেন ৬৭ রান। মাত্র ৪৮ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ৩টি বিশাল ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে আরও বিধ্বংসি ছিলেন আগের দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচে রানের দেখা না পাওয়া ইমরুল কায়েস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯১ রানে। ৫৪ বল খেলে ৯টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে এ রান করেন তিনি।আরটি/আইএইচএস
Advertisement