অর্থনীতি

স্বাক্ষরিত হল জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি

অনেক জল্পনা-কল্পনার অবসান গঠিয়ে অবশেষে কাঠমান্ডুতে স্বাক্ষরিত হলো সার্ক জ্বালানি সহযোগিতা চুক্তি। ৬ দিনের ঐকান্তিক আলোচনার পর সদস্য দেশগুলো এ চুক্তি স্বাক্ষরে একমত হয়।নেপালে শীর্ষ সম্মেলনের শেষ দিন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় সমাপনী অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের চুক্তি সাক্ষরের জন্য আহবান জানান। পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আট দেশের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে পরররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই চুক্তিতে সই করেন।জ্বালানি কাঠামো চুক্তিতে বলা আছে- যেকোনও অনুমোদিত সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সদস্য দেশের অনুমতি সাপেক্ষে বিদ্যুৎ কেনা-বেচা করতে পারবে। কেনা-বেচার শর্ত, অর্থ পরিশোধ পদ্ধতি এবং ব্যবসা কত বছরের জন্য চলবে সেগুলো নির্ধারণ করবে সদস্য দেশগুলো।এছাড়া সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে কারিগরি ডাটা এবং তথ্য আদান-প্রদান করবে। বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন প্রতিষ্ঠানগুলি ভবিষ্যৎ চাহিদা অনুধাবন করে কিভাবে আন্তঃসীমান্ত গ্রিড স্থাপন করা যায় তার পরিকল্পনা করবে। আন্তঃসীমান্ত সংযোগের ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলো বিদ্যুৎ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ট্রান্সমিশন সিস্টেম প্রতিষ্ঠার জন্য সুবিধা প্রদান করবে।‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর সংযোগ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হলো দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা বা সাউথ এশিয়ান এসোশিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন (সার্ক) এর ১৮তম সম্মেলন। বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডু এক ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সার্কের ১৮তম সম্মেলন।তৃতীয় বারের মত সার্ক সম্মেলনের আয়োজন করছে কাঠমান্ডু। ১৯৮৭ সালে প্রথম এবং দ্বিতীয়বার ২০০২ সালে সার্ক সম্মলেনর আয়োজন করেছিল দেশটি। সর্বশেষ সার্কের ১৭ তম সম্মেলনটি হয়েছিল মালদ্বীপের আদ্দু সিটিতে।জাগোনিউজ২৪.কম/আরএস

Advertisement