দেশজুড়ে

২০ বছর পর দুই ধর্ষকের যাবজ্জীবন

রংপুরের মিঠাপুকুরে এক কিশোরীকে অপহরণের পর সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

ঘটনার ২০ বছর পর বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-১ এর বিচারক মো. মোস্তফা কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ১৪ মে মিঠাপুকুর উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের এক কিশোরী একই গ্রামে তার বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ওইদিন রাত ৮টার দিকে মেয়েটি বাড়ির পাশে টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যায়। সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা মুরাদপুর গ্রামের ইয়াছিমুদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও ওমেদ আলীর ছেলে শাহ আলম তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করেন। পরে বাড়ির অদূরে একটি ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে তিনি আদালতে অভিযোগ করলে বিচারক থানাকে মামলাটি রেকর্ড করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দেন।

Advertisement

তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খলিলুর রহমান দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামি রফিকুল ইসলাম ও শাহ আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সেইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার রফিক হাসনাইন বলেন, ২০ বছর পরে হলেও নাবালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এ রায়ে উভয়পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।

জিতু কবীর/এসআর/জিকেএস