আইন-আদালত

ঋণ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট সাহেদের জামিন

 

পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) প্রায় পৌনে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পেয়েছেন মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম। অভিযুক্ত সাহেদ রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সাহেদসহ চারজনের নামে মামলা করেন। সাবেক ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালে এ মামলা করেন তিনি।

এ মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছিলেন সাহেদ। পরে হাইকোর্ট জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। বৃহস্পতিবার সেই রুল মঞ্জুর করেছেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

Advertisement

২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। অভিযানে করোনার পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

এরপর ওই বছরের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে আটক করে র‌্যাব। সেই থেকে তিনি কারাবন্দি।

এদিকে, মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে জাল এনআইডি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয়ে এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

এছাড়া এনআরবি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে সাহেদ যে জাতীয় পরিচয়পত্রটি দেন, তা যাচাই-বাছাই করে জাল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজে এই পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement

দুদক সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন তার নামসহ অন্যান্য তথ্য দিয়ে অনুসন্ধান করে আরও দুটি এনআইডি নম্বর পাওয়া গেছে। যার একটি লক করা ও অন্যটি ডুপ্লিকেট হিসেবে কর্তন করা অবস্থায় রয়েছে।

এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস