সামনে ৫০৮ রানের অসম্ভব এক লক্ষ্য। জিততে হলে পাকিস্তানকে ইতিহাস গড়তে হতো। তবে জয় অসম্ভব হলেও গল টেস্টে টপঅর্ডারের দৃঢ়তায় ড্রয়ের স্বপ্ন দেখছিল সফরকারীরা।
Advertisement
২ উইকেটে পাকিস্তান তুলে ফেলেছিল ১৭৬ রান। সেখান থেকে আর ৮৫ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে গেছে বাবর আজমের দল। প্রভাত জয়সুরিয়া আর রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণিতে তাদের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ২৬১ রানে।
শ্রীলঙ্কা পেয়েছে ২৪৬ রানের বিশাল জয়। সিরিজের প্রথম টেস্টে জিতেছিল পাকিস্তান। লঙ্কানদের এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়।
পঞ্চম দিনে লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার আগে ৫ উইকেটে ১৮৮ রান ছিল পাকিস্তানের। ১৩৩ বল খেলে ৭৬ রানে অপরাজিত ছিলেন বাবর আজম। তার ওপরই ছিল সব আশা-ভরসা। কিন্তু লাঞ্চের পর সপ্তম ওভারেই বাবরকে (৮১) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন জয়সুরিয়া।
Advertisement
তাতেই লঙ্কানদের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষের দিকে ইয়াসির শাহ ২৫ বলে ২৭ আর নাসিম শাহ ২১ বলে ১৮ রান করে কিছুটা সময় হার বিলম্বিত করেছেন।
১ উইকেটে ৮৯ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করেছিল পাকিস্তান। হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় এসে (৪৯) দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন ইমাম উল হক। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে নিয়ে ৭৯ রানের একটি জুটি গড়েছিলেন বাবর।
৩৭ করা রিজওয়ানকে প্রভাত জয়সুরিয়া বোল্ড করলে দ্রুতই আরও দুটি উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ফাওয়াদ আলম রানআউট হন ১ রানে, আঘা সালমানকে লাঞ্চের ঠিক আগের বলে ফেরান জয়সুরিয়া।
সবমিলিয়ে ১১৭ রানে ৫ উইকেট নেন জয়সুরিয়া। এ নিয়ে টেস্টে ৬ ইনিংসে ৪ বার পাঁচ বা ততোধিক উইকেট পেলেন লঙ্কান এই বাঁহাতি স্পিনার। রমেশ মেন্ডিস ১০১ রানে শিকার করেন ৪ উইকেট।
Advertisement
এমএমআর/জিকেএস