পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের ঐতিহ্যবাহী একটি বাহন ট্রাম ২৮। এর যাত্রা ১৯১৪ সালের দিকে। শুরুর দিকে পাহাড়ে ঘেরা উঁচু প্রবল বাতাসের রাস্তা পাড়ি দিতে ঘোড়ার মাধ্যমে চালনা শুরু হয়েছিল ট্রাম ২৮। তখন থেকেই ট্রাম স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় বাহনের খ্যাতি অর্জন করে।
Advertisement
যেন ট্রামের আবির্ভাবই হয়েছিল শত শত বছর ধরে লিসবন শহরের ঐতিহ্যের সাক্ষী হিসেবে নিজেকে ধারণ করা, যা এখন প্রাচীন ঘোড়ায় চালানোর পরিবর্তে আইকনিক হলুদ বৈদ্যুতিক বাহনে প্রতিস্থাপিত হয়েছে মাত্র।
স্থানীয়রা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আশা ভ্রমণ-পিপাসুদের কাছে ট্রাম বেশ নজর কেড়ে নিয়েছে। পর্যটকদের আনন্দ উপভোগের আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু ট্রাম ২৮। লিসবনে বেড়াতে আসবে কিন্তু ট্রামে করে শহরের উঁচু জায়গাগুলো ভ্রমণের ইচ্ছে পোষণ করবে না তেমনটা হতে পারে না।
যাত্রীবাহী ট্রাম মূলত কাঠের কারুকাজে শৈল্পিক এক রূপ ধারণ করেছে। ট্রামের মেঝে কাঠের, জানালা কাঠের ফ্রেমের, তার সঙ্গে হলুদ রংয়ের পরশ দিয়ে আশ্চর্যজনকভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ট্রামকে।
Advertisement
যে রাস্তায় ট্রাম ২৮ যাতায়াত করে সেই রাস্তাটি মূলত প্রায় ৭ কিমি দীর্ঘ। পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র গ্রাচা, আলফামা, বাইক্সা চিয়াডো, সান্তা ক্যাটারিনা ও এস্ট্রেলার মতো জনপ্রিয় ও ব্যস্ততম স্থানগুলো দিয়ে যাতায়াত করে।
ট্রামের শুরুর ছাউনি থেকে শেষ গন্তব্য পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৫০ মিনিট। ট্রামের যাতায়াত লার্গো ডো মার্টিম মনিজ থেকে শুরু হয়ে শেষ প্রান্ত লার্গো ডো প্রাজেরেজে শেষ হয়।
এমআরএম/এএসএম
Advertisement