রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে অন্যের হয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ায় (প্রক্সি) দুই ঢাবি শিক্ষার্থীসহ চারজন এবং একজন মূল পরীক্ষার্থীকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Advertisement
এ ঘটনায় আটক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বায়জিদ খান পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। রাবি ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নির্দেশে তিনি প্রক্সি দেন বলে স্বীকার করেছেন। তার স্বীকারোক্তির একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে।
প্রক্সি দেওয়ার নির্দেশদাতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ মখদুম হলে থাকেন।
ছাত্রলীগ নেতার কথায় প্রক্সিদাতা বায়জিদ খান রাবির ফোকলোর বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।
Advertisement
জিজ্ঞাসাবাদে বায়জিদ জানান, তন্ময়ের কথায় তিনি প্রক্সি দিতে সকালে ক্যাম্পাসে এসেছেন। প্রক্সি দেওয়ার আগে তিনি তার ব্যক্তিগত ফোন তন্ময়ের কাছে জমা রেখেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার কল করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
অভিযুক্ত মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমরা খুব দ্রুতই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনায় প্রমাণসাপেক্ষ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মেহেদী হাসান তাপস বলেন, ‘বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। তবে সে যদি সত্যিকার অর্থে এমনটা করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
Advertisement
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘জালিয়াতির ঘটনায় অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের একজন তন্ময় নামে একজনের কথা বলেছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে তদন্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছি।’
অভিযুক্ত তন্ময়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, আইন সবসময় আইনের গতিতেই চলবে। ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, তাদের পরিচয় যতই শক্ত হোক না কেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জিকেএস