পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চার লাখ ট্যাব ব্যবহার করে চার লাখ তরুণ-তরুণী সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে জনশুমারির ফল প্রকাশ করতে পেরেছি।
Advertisement
বুধবার (২৭ জুলাই) নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ‘ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
এম এ মান্নান বলেন, সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহে চার লাখ ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৬৪টি ট্যাব নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা এ কাজ করেছেন। মাত্র এক সপ্তাহে এ ট্যাবের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করেছেন তারা।
বলেছিলাম এক মাসের মধ্যে এ তথ্য প্রকাশ করতে চাই। আমাদের পাঁচদিন বেশি সময় লেগেছে। আরেকটি কথা দিয়েছিলাম তথ্য গোপন রাখবো। এটা শুধু সরকারের কাছে থাকবে অন্য কোথাও প্রকাশ করা হবে না।
Advertisement
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা যাদের ভাসমান মনে করছেন, তারা অনেকেই ভাসমান নয়। কমলাপুর রেলস্টেশন কিংবা বিভিন্ন জায়গায় যারা থাকেন— তারা একটি বাড়ি কিংবা নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে ঘুমান। তাই তাদের ভাসমান বলছি না।
জনশুমারির সময়ের নানা প্রতিকূলতার কথা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একটি প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে যাচ্ছিলাম। করোনা ভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, উত্তরাঞ্চলের বন্যা।
তিনি বলেন, জনশুমারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছি। তখনই যেটা বলেছি সকালে নিয়ে গেছি বিকেলে সেটা অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী এবং তার দফতরের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।
জনসংখ্যার তত্ত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, জনসংখ্যার হার বাড়বেও একটা সময় কমে যাবে। এটাই জনসংখ্যার থিওরি। বাংলাদেশের এক সময় থেকে অর্ধেকে নেমে আসবে। একটা সময় গিয় নির্ভরশীলতার হার বেশি থাকবে।
Advertisement
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
আরএসএম/এমএএইচ/জেআইএম