জীবন ও জীবিকার তাগিদে দিন দিন ছোট হচ্ছে পরিবারের আকার। একসময় যৌথ পরিবারের সংখ্যা বেশী থাকলেও নগরায়ণ, অর্থনৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক নানা কারণে বাড়ছে একক পরিবার। তবে দেশের বিভাগগুলোর মধ্যে পরিবার বেশি ভাঙছে ঢাকায়। তবে পরিবারের বন্ধন দৃঢ় হচ্ছে বেশি সিলেটে। ঢাকায় খানার আকার ৩ দশমিক ০৮ জন এবং সিলেটে এর আকার ৫ জন। অর্থাৎ সিলেটে যৌথ পরিবার টিকে থাকলেও নেই ঢাকায়।
Advertisement
গত এক দশকে দুই কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার ৯২০ জন বেড়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
বুবুধবার (২৭ জুলাই) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় বিবিএস-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
Advertisement
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।
বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে মোট খানার (পরিবার) সংখ্যা চার কোটি ১০ লাখ ১০ হাজার ৫১ জন এবং খানার গড় আকার চার জন। এক দশক আগে খানার সংখ্যা ছিল তিন কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩০ জন।
খানার আকার ছিল সাড়ে চার জন। অর্থাৎ খানার আকার ছোট হচ্ছে। খানার সংখ্যা বাড়ছে ৮৮ লাখ ৩৬ হাজার ৪২১টি।
ঢাকার মতো রাজশাহীতেও ছোট হচ্ছে খানার আকার যা মাত্র ৩ দশমিক ০৮ জন। এছাড়া রংপুরে খানার আকার ৩ দশমিক ০৯, খুলনায় ৩ দশমিক ০৯, বরিশালে ৪ দশমিক ০১, চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ০৪, ময়মনসিংহে ৪ জন।
Advertisement
এমওএস/জেএস/জেআইএম