জাতীয়

দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের ৩৭ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন

দেশের জনগোষ্ঠীর ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৭ দশমিক ০১ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। এ বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ পুরুষ এবং ২৮ দশমিক ০৯ শতাংশ নারী। অন্যদিকে পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ দশমিক ০২ শতাংশ এবং নারী ২৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। বহুল প্রতীক্ষিত জনশুমারি ও গৃহগণনায় দেশের জনগোষ্ঠীর এ ফলাফল মিলেছে।

Advertisement

বুধবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

সারাদেশে গত ১৫ জুন একযোগে শুরু হয় জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম। গত ২১ জুন জনশুমারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেসব জেলায় শুমারি কার্যক্রম চলে ২৮ জুন পর্যন্ত।

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গ ১২ হাজার ৬২৯ জন।

Advertisement

জনসংখ্যার পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে মোবাইল ফোন আছে ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশের। পাঁচ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ফোন আছে ৬৬ দশমিক ৫৩ শতাংশের, আর নারীদের মধ্যে মোবাইল ফোন আছে ৪৫ দশমিক ৫৩ শতাংশের। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশের আট বিভাগের মধ্যে পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব, ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব এ দুই ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ঢাকায় আর সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে।

ঢাকায় পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৬২ দশমিক ০৭ শতাংশের মোবাইল ফোন রয়েছে। আর এ বিভাগে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশেরই মোবাইল ফোন আছে। অন্যদিকে সিলেট বিভাগে পাঁচ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৫৫ শতাংশের হাতে মোবাইল ফোন, আর ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৮২ দশমিক ৯৬ শতাংশের মোবাইল ফোন রয়েছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। প্রাথমিক প্রতিবেদন বিষয়ক উপস্থাপনা করেন প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন।

এইচএ/এমকেআর/এএসএম