ফেনীর সোনাগাজীতে বেড়েছে জ্বর-সর্দি ও শরীর ব্যথায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বড়দের চেয়ে শিশুদের নিয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা। তাদের মধ্যে জ্বর ভীতি থাকলেও করোনা পরীক্ষায় তেমন আগ্রহ নেই।
Advertisement
বেশ কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরম, হঠাৎ বৃষ্টি ও রাতে ঠাণ্ডা-গরম পড়ছে। তাপমাত্রার এ তারতম্যের কারণে জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। তবে যে কারণে জ্বর-সর্দি দেখা দিক না কেন অবহেলা না করে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বেশিরভাগ বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। তাদের বেশির ভাগই বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ কিনে সেবন করছেন। এভাবে অনেকে সুস্থ হয়েও উঠছেন। আবার কেউ কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে গিয়েও চিকিৎসা নিচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. আবদুল কুদ্দুছ বলেন, জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে গড়ে প্রতিদিন ৩৫০-৪০০ রোগী আসছেন। এসব রোগীর মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশি জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, গত চারদিনে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৪০ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
নাছির উদ্দিন নামের একজন বলেন, কয়েকদিন ধরে ১০ মাস বয়সী মেয়ে জ্বর-কাশিতে ভুগছেন। ওষুধ খেয়ে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর গত রোববার রাত থেকে হঠাৎ করে তার ডায়রিয়া শুরু হয়। ওষুধে নিয়ন্ত্রণে না আসায় হাসপাতালের বহির্বিভাগের এসে শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে করোনা ভীতি থাকায় বাসা চলে যান ।
পৌর শহরের ওষুধ দোকানি পিন্টু নাথ বলেন, গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে সর্দি-কাশি-জ্বরের ওষুধ বিক্রি ব্যাপক বেড়ে গেছে। যা অবস্থা, তাতে মনে হয় এখন ঘরে ঘরে জ্বর। এ ধরনের বেশিরভাগ রোগী বা রোগীর স্বজন চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে তাদের কাছে এসে উপসর্গের কথা বলে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎপল দাশ বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনে জ্বর, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ও বহির্বিভাগে আসা রোগীদেরকে সেবা দিয়ে সুস্থ করতে চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। করোনা পরিস্থিতি হওয়ায় তিনি সবাইকে পরিষ্কার থাকাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
Advertisement
আরএইচ/এএসএম