আন্তর্জাতিক

কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত ১৫

ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে সহিংসতার এ ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এটিকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নিহত শান্তিরক্ষীদের মধ্যে দুইজন ভারতীয়। এদিকে নিহত আরেকজন মরক্কোর বলে জানা গেছে। 

স্থানীয় সময় সোমবার (২৫জুলাই) দেশটির উত্তরের কিভু রাজ্যের প্রধান শহর গোমায় শুরু হয় বিক্ষোভ। এক দশকের বেশি সময় ধরে চলা সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশনস অরগানাইজেশন স্টাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর (এমওএনইউএসসিও) বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিক্ষোভ আরও উত্তরের বেনি ও বুটেম্বো শহরে ছড়িয়ে পড়ে।

সরকারের এক মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া জানান, গোমায় বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতায় পাঁচজন নিহত ও আরও অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।

Advertisement

এদিকে, স্থানীয় পুলিশ প্রধান কর্নেল পল এনগোমা বলেছেন, বুটেম্বোতে সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ মিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাতিসংঘের কাজে নিয়োজিত দুইজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ বলছে, বিক্ষোভকারীরা কঙ্গোলিজ পুলিশের কাছ থেকে ‘সহিংসভাবে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে’ এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীর ওপর গুলি চালিয়েছে। তারা পাথর ও পেট্রল বোমাও নিক্ষেপ করে। শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিতে ভাঙচুর চালায় এবং লুটপাটও করে।

বিবৃতিতে এক মুখপাত্র জানান, এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

Advertisement

জাতিসংঘের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক জানান, ‘ জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেছেন যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত যে কোনো হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ হতে পারে। একই সঙ্গে কঙ্গোলি কর্তৃপক্ষকে এসব ঘটনা তদন্ত এবং দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।

সূত্র: আল-জাজিরা

এসএনআর/জেআইএম