জাতীয়

হায় হায় পার্টির নাই নাই আহাজারিতে ভয় নেই: হুইপ স্বপন

জাতীয় সংসদের হুইপ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, আমাদের দেশের কিছু হতাশ রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের আয়েশী ব্যক্তি আছেন, যারা কোনো কিছুতেই দেশের মঙ্গল দেখতে পান না। তারা সবসময়ই শুধু নেতিবাচক প্রচারণায় মগ্ন রয়েছেন। অনেকেই আবার দেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছেন। এদের হায় হায় পার্টি বলা হয়। এসব পার্টির নাই নাই আহাজারিতে ভয়ের কিছু নেই।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বপন বলেন, কিছুদিন পূর্বে তারা বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে অর্থনীতিতে অরাজকতা ও সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে সফল হতে পারেনি। এখন বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রভাবে বর্ধিত আমদানি ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর কিছুটা চাপ পড়ার পর তারা আবার হায় হায়, নাই নাই রোগাক্রান্ত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০০৬ সালে জামায়াত-বিএনপির শাসনামলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৬ বিলিয়নের নিচে। ২০০৯ সালে বাঙালির আপন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব গ্রহণকালে রিজার্ভ ছিল মাত্র ৭ দশমিক ৪ বিলিয়ন। এরপর তার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ২০১০ সালে রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন অতিক্রম করে, এরপর ২০১৪ তে ২০, ২০১৬ তে ৩০, ২০১৯ এ ৩৩ এবং ২০২২ সালে ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ সৃষ্টি হয়।

Advertisement

‘বর্ধিত আমদানি ব্যয়ের চাপ সামলাতে আপাতত রিজার্ভ ৪০ এর সামান্য নিচে দাঁড়িয়েছে। এখনো জামায়াত-বিএনপির মতো ৬ অথবা সুশীল তত্ত্বাবধায়ক আমলের মতো ৭ বিলিয়ন থেকে যোজন যোজন ওপরে অবস্থান করছে। এই সময়ে বিদেশের বিভিন্ন বাংলাদেশি শাখা ব্যাংকে গচ্ছিত ও বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির নিকট আমাদের ১০ বিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে। সুতরাং হায় হায় পার্টির নাই নাই বিলাপ এবারও উন্নয়ন এবং মানবকল্যাণের সুবাতাসে হারিয়ে যাবে।’

পেকুয়া কলেজ মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।

এছাড়াও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান মুজিব, আলহাজ্ব জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সারোয়ার কমল, আওয়ামী লীগ নেতা মো. রেজাউল করিম, অ্যাডভোকেট রঞ্জিত দাস, মাহবুবুর রহমান, লায়ন কমর উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু ও আমিনুর রশীদ প্রমুখ।

সম্মেলন পরিচালনা করেন আলহাজ্ব আবুল কাশেম। সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আলোচনার ভিত্তিতে সর্বসম্মতিক্রমে পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠিত হয়। এতে মো. শহীদুল্লাহ সভাপতি, সাইফুদ্দিন খালেদ, এ কে এম মহিউদ্দিন বাবর, ফরহাদ ইকবাল, নজরুল ইসলাম বাবুল সহ-সভাপতি, আলহাজ্ব আবুল কাশেম সাধারণ সম্পাদক, মো. মফিজুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক এবং আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মো. ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেসী, অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম মিনু সদস্য নির্বাচিত হন।

Advertisement

দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।

এসইউজে/এমপি/এএসএম