পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জোবায়দুল হক রাসেলকে শোকজ করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ভিপি আব্দুল মন্নান এ শোকজ করেন। আগামী তিনদিনের মধ্যে রাসেলকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে আপনি নির্বাচনী প্রচারণায় উঠান বৈঠকে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত থেকে জনম্মুখে ইভিএমে ভোট প্রদান বিষয়ে অসত্য, ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন, যা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আপনার এরূপ মনগড়া ও ব্যক্তিগত বক্তব্য সারাদেশে গণমাধ্যমে প্রচার ও জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আপনার বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী তিনদিনের মধ্যে জানাতে বলা হলো।
Advertisement
এদিকে জোবায়দুল হক রাসেলের বিতর্কিত এ মন্তব্যের পর সোমবার (২৫ জুলাই) নাজিরপুর তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি রাসেলের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। বুধবার (২৭ জুলাই) এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় তাঁতেরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকার একটি উঠান বৈঠকে বিতর্কিত ওই বক্তব্য দেন জোবায়দুল হক রাসেল। এ সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক তার পাশে বসা ছিলেন।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওর বক্তব্যে জোবায়দুল হক রাসেলকে বলতে শোনা যায়, ‘ভোট হবে ইভিএমে। কে কোথায় ভোট দেবেন তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খান আবি শাহানুর খান বলেন, ‘ইভিএমে ভোট গ্রহণ নিয়ে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করছে। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
Advertisement
আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/এএসএম