জাতীয়

বইমেলায় স্টল নির্মাণ : সময় বেঁধে দেবে বাংলা একাডেমি

অমর একুশে বইমেলা ২০১৬ শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১ ফেব্রয়ারি)। বাঙালির প্রাণের এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে মেলায় বরাদ্দ পাওয়া প্রকাশনাগুলোকে ২৫ জানুয়ারির (সোমবার) মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ প্রকাশনাই হয়েছেন ব্যর্থ। বাংলা একাডেমির নির্দেশনা অনুযায়ি নির্দিষ্ট সময়ে স্টল নির্মাণসহ যাবতীয় কাজ শেষ করতে পারেননি। তবে বরাদ্দ পাওয়া স্টলের বাকি কাজ শেষ করতে নতুন করে সময় পাচ্ছেন প্রকাশকরা।মেলার সার্বিক তত্ত্বাবানে থাকা বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জাগো নিউজকে জানান, “আমরা একটা সময় বেঁধে দেব। যে সময়ের মধ্যে প্রকাশনাগুলোকে কাজ শেষ করতে হবে।”রোববার মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ প্রকাশনা তাদের স্টল নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেননি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে হাতে-গোনা কয়েকটি প্রকাশনা তাদের স্টল নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন। বইয়ের পসরা সাজিয়েছে মাত্র ৮ থেকে ৯টা প্রকাশনা। এছাড়া বেশীর ভাগ স্টলেরই মাত্র ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশের মতো কাজ শেষ হয়েছে। কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের সঙ্গে কথা বললে জানান, আজকের (রোববার) মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।তবে মেলার একাডেমির অংশে কাজের অগ্রগতি অনেকাংশে বেশি শেষ হয়েছে। বেশীরভাগ প্রকাশনা সংস্থার কাজ প্রায় শেষ। কয়েকটি স্টলে শ্রমিকরা ব্যস্ত রয়েছে রং করার কাজে। এছাড়া এখানেও কোনো প্রকাশনা সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান বইয়ের পসরা সাজনোর কাজ শুরু করতে পারেনি।বাংলা একাডেমির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ জাগো নিউজকে আরো বলেন, “আমরা প্রকাশনাগুলোকে এর আগেও  নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। কিছুক্ষণ পর রাত ৮ থেকে ৯টার মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেব।”উল্লেখ্য, এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৮২টি প্রতিষ্ঠানকে ১১১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩২০টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৪০টি ইউনিটসহ মোট ৪০২টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৫১টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ১৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১৫টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।এমএইচ/আরএস/এমএস

Advertisement