আঙ্কারার আকাশসীমা লঙ্ঘন করা নিয়ে ফের চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে তুরস্ক এবং রাশিয়ার মধ্যে। সতর্কতা জানানোর পরও রাশিয়ার একটি এসইউ-৩৪ জেটবিমান আকশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্ক। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর পরিণাম সম্পর্কে শনিবার রাশিয়াকে সতর্ক করেছে আঙ্কারা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। এর আগে গত নভেম্বরেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। সেসময় সিরিয়ার আকাশসীমায় থাকা একটি রুশ যুদ্ধবিমান আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করে। এ নিয়ে দেশ দুটি চরম বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তুরস্কের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে মস্কো। তুরস্কের দাবিকে প্রচারণা হিসেবে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ। তিনি দাবি করেছেন, কোনো রুশ বিমান তুরস্কের আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি। তিনি বলেন, তুর্কি রাডার স্থাপনা কোনো নির্দিষ্ট বিমান বা এর ধরন এবং জাতীয়তা শনাক্ত করতে সক্ষম নয়। ইংরেজি অথবা রুশে কোনো মৌখিক সতর্কতা ইস্যু করা হয়নি। এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানানোর জন্য শুক্রবার রাতে রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়। রাশিয়া দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনাকে বৃদ্ধি করতে চায়।বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ধরনের দায়িত্বহীন আচরণের পরিণতির জন্য রুশ ফেডারেশন দায়ি থাকবে। ন্যাটোর মহাসচিব ইয়েন স্টোলটেনবার্গ আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে ন্যাটোর আকাশসীমা আর যেন লঙ্ঘন করা না হয় সে বিষয়ে ‘সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার’ জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এ ধরনের আচরণের পরিণতি কতোটা বিপজ্জনক তা আগের ঘটনাগুলোর দিকে নজর দিলে স্পষ্ট হবে। আকাশ সীমা লঙ্ঘন নিয়ে এ উত্তেজনার মাঝে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান বলে জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরদোয়ান। এসআইএস/এমএস
Advertisement