তথ্যপ্রযুক্তি

পেট্রল-চার্জ কিছুই লাগবে না বিশেষ স্কুটারে

বিশ্বের অন্যতম গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাইটন। আমেরিকার বিখ্যাত এই ইলেকট্রিক ভেহিকেলের হাত ধরে ভারতে প্রথম আসতে চলেছে হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত টু-হুইলার। শুধু দু’চাকার গাড়ি নয়, সেই তালিকায় একটি থ্রি-হুইলারও রয়েছে।

Advertisement

তবে লঞ্চের সময়সূচি সম্পর্কে সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়। আসন্ন টু-হুইলারটি একটি স্কুটার নাকি বাইকের মডেল, সে প্রসঙ্গেও খোলসা করেনি সংস্থা। এই জাতীয় টু-হুইলারের একটি হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল থাকে। এটি আসলে একটি সিলিন্ডার যেখানে অক্সিজেনের সঙ্গে অনুঘটকের উপস্থিতিতে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।

এই বিদ্যুৎ মোটরকে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। গাড়ি চলার সময় কেবল জল নির্গত হয়। পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক কোনো গ্যাস বাতাসে মিশবে না। আবার অতি অল্প সময়েই জ্বালানি ভরানো যায়।

ট্রিটন ইলেকট্রিক ভেহিকলের সিইও ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিমাংশু প্যাটেল বলেন, ভারতের রাস্তায় খুব শিগগিরই দেখা যাবে তাদের দুই চাকার যান। তবে সেটি বাইক নাকি স্কুটার তা নিয়ে কিছু বলেননি।

Advertisement

তিনি আরও জানান, গুজরাতের ভুজে ট্রিটনের কারখানাটি সুবিশাল, ৬০০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। প্ল্যান্টটি যখন তৈরি হয়ে যাবে, তখন তার সাইজ হবে তিন মিলিয়ন স্কোয়ার ফুট। হাইড্রোজেন জ্বালানি দ্বারা চালিত ট্রিটনের গাড়িগুলি ভারতে ম্যানুফ্যাকচার করা হবে ট্রিটনের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে, যা গুজরাতে অহমদাবাদে অবস্থিত।

ট্রিটনের গ্লোবাল যে ফেসিলিটি রয়েছে, তার থেকে অন্তত দ্বিগুণ এই অহমদাবাদের আর অ্যান্ড ডি সেন্টারটি। প্রসঙ্গত, গ্লোবাল মার্কেটে ট্রিটন প্রসিদ্ধ মূলত ইলেকট্রিক গাড়ি, ট্রাক এবং বিশেষ উদ্দেশ্যের গাড়ির জন্যই।

এর আগে জানা গিয়েছিল, ট্রিটন তাদের কারখানাটি তেলেঙ্গনায় তৈরি করবে। গত বছর হায়দরাবাদে সংস্থাটি তাদের আট-সিটার ইলেকট্রিক এসইউভির এক ঝলক দেখিয়ে ভারতে তাদের প্ল্যান সম্পর্কে জানিয়েছিল।

সেই সময়ই সংস্থাটি জানিয়েছিল যে, ভারতে তাদের ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুত করতে স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটির সন্ধানে রয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই ফেসিলিটি নির্মিত হচ্ছে গুজরাতে। আর সেখান থেকেই ট্রিটন তাদের ইলেকট্রিক বাইক, তিন-চাকা গাড়ি তৈরি করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মার্কেটে শিপিং করবে।

Advertisement

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস কেএসকে/জিকেএস