পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচন বুধবার (২৭ জুলাই)। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ নিয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কেন্দ্রীয় নেতা জোবায়দুল হক রাসেলের একটি বিতর্কিত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
Advertisement
শনিবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় তাঁতেরকাঠী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকার একটি উঠান বৈঠকে জোবায়দুল হক রাসেল ওই বক্তব্য দেন। এ সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম ফারুক তার পাশে বসা ছিলেন।
ফেসবুকের ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিও বক্তব্যে জোবায়দুল হক রাসেলকে বলতে শোনা যায়, ‘ভোট হবে ইভিএমে। কে কোথায় ভোট দেবেন তা কিন্তু আমাদের কাছে চলে আসবে। অতএব ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নাই, টেনশনেরও কিছু নাই।’ আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্য ঘিরে সব মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিব্রতবোধ করছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরাও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন অফিসার খান আবি শাহানুর খান বলেন, ‘ইভিএমে ভোটগ্রহণ নিয়ে মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্যের বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তবে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক রাসেলের এ বিষয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়নের সুলতানাবাদের একটি উঠান বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তালুকদার মো. জাহাঙ্গীরও একটি বিতর্কিত বক্তৃতা দেন। সেখানে তিনি বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনাদের দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে। যেহেতু বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে, তাহলে আপনি যদি সেই দলের সমর্থক হন, তাহলে আপনিও তো নির্বাচন বর্জন করেছেন। আর যদি মনে করেন নৌকা প্রতীকে আদৌ ভোট দেবেন না, ইব্রাহিম ফারুককে হারাতে হবে, নৌকাকে ঠেকাতে হবে; তাহলে আমিও কিন্তু একটা কথা আপনাদের পরিষ্কার বলে রাখি— সময় আছে মাত্র তিন-চারদিন। পরিষ্কার ভাষায় এ কথা বলতে চাই যে সব বন্ধুরা নৌকায় ভোট দেবেন না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছেন, তারা অনুগ্রহপূর্বক আপনার দল নির্বাচন বর্জন করেছে, আপনিও নির্বাচন বর্জন করেছেন। আপনাকে কিন্তু আমরা ভোটের দিন কাছাকাছি দেখতে চাই না।’
আব্দুস সালাম আরিফ/এসআর/জিকেএস
Advertisement