অব্যাহত লোকসানে ক্ষতিগ্রস্ত পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, প্রত্যেক শ্রমিক-কর্মচারীকে আখ রোপণ করতে হবে। যিনি আখ রোপণ করবেন না তাকে বেতন দেয়া হবে না। এর আগে বেতনের বদলে শ্রমিক-কর্মচারীদের চিনি প্রদানের পর এবার নতুন অফিস অর্ডার জারি করেছেন। এদিকে বাইরে থেকে যারা এখানে চাকরি করছেন সে সকল শ্রমিক-কর্মচারীরা কোথায় জমি পাবেন আর তাতে কিভাবে আখ রোপণ করবেন এ নিয়ে মিলে চলছে নানান বিভ্রান্তি ও ক্ষোভ।শ্রমিক নেতাদের সুপারিশে বেতন নিতে গেলে মিলের শ্রমিক নজরুল, মিলন, তারেক প্রমুখের কাছ থেকে বন্ড নেয়া হয় এক একর জমিতে আখ লাগানোর জন্য। মিলের সাবেক সিবিএ নেতা ইব্রাহিম হোসেন ও আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। মিলের এমডির মুঠোফোনে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি নোটিশ করার কথা অস্বীকার না করে অসুস্থতার কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উল্লেখ্য, আখের অভাবে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না করেই গত ২১ জানুয়ারি আখ মাড়াই বন্ধ করা হয়। চিনি উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৩১শ` মে.টন। চিনি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭৫০ মেট্রিক টন। আর আখ মাড়াই শুরু হয়েছিল ১১ ডিসেম্বর। গত বছর এই মিলে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয়েছিল তাতে কেজি প্রতি উৎপাদন খরচ পড়েছে ১২৫ টাকা আর বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা কেজি। ফলে অব্যাহত লোকসান যুক্ত হয়ে এবার দাঁড়িয়েছে আড়াইশ’ কোটি টাকা। আলাউদ্দিন আহমেদ/এসএস/এমএস
Advertisement