জাতীয়

এবার চট্টগ্রাম বন্দরে মদের কনটেইনার জব্দ

চট্টগ্রাম বন্দরে এক কনটেইনার মদ জব্দ করেছে কাস্টমস। রোববার (২৪ জুলাই) সকালে বন্দরের ৫ নম্বর ইয়ার্ডে এসব মদ জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিরীক্ষা, অনুসন্ধান ও গবেষণা (এআইআর) টিম।

Advertisement

কাস্টমসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই চীন থেকে এসব মদ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। পলিয়েস্টার সুতা ঘোষণা দিয়ে আইপি জালিয়াতির মাধ্যমে নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের নামে এসব মদ আনা হয়। এটির সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের ৬৯৯ কেবি দোভাষ লেনের জাফর আহমেদ।

মদের চালানটি খালাসের জন্য ২০ জুলাই এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব অ্যান্ট্রি দাখিল করে সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানটি। এতে শুল্কায়নের জন্য শতভাগ পলিয়েস্টার সুতা ঘোষণা দেওয়া হয়।

Advertisement

গত শুক্রবার (২২ জুলাই) দিনগত রাতে মেশিনারি ও ববিন ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে নিয়ে আসা দুই কনটেইনার মদ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে জব্দ করা হয়। র্যাব, গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় দুই লরিতে থাকা ৪০ ফুটের মদের কনটেইনার দুটি জব্দ করেন চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তারা।

জব্দ হওয়া ওই দুই কন্টেইনার মদের চালানে ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে কাস্টমসের কাছে মদ ভর্তি দুটি কনটেইনার খালাস হওয়ার গোপন খবর আসে বে। এরপর চালানটি আটকের দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কাস্টমস। কিন্তু ততক্ষণে জালিয়াত চক্রটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকেই মদ ভর্তি লরি দুটি খালাস করে বন্দর থেকে বের করে নেয় বলে জানতে পারে কাস্টমসের এআইআর শাখা। এরপর কাস্টমসের পক্ষ থেকে মদবাহী লরি দুটি আটকে র্যাব, হাইওয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগিতা চাওয়া হয়। রাতেই র্যাব উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় গাড়ি দুটির অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর কাস্টমসের এআইআর শাখার টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লরিতে থাকা মদের চালানের সত্যতা পান।

কাস্টমস সূত্র আরও জানিয়েছে, কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুই প্রতিষ্ঠানের নামে টেক্সটাইলের মেশিন ও সুতা ঘোষণায় আমদানি হওয়া মদের চালান দুটির আমদানিকারক পৃথক দেখানো হলেও খালাসের দায়িত্বে ছিল একই সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানাধীন কেভি দোভাষ লেনের সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাফর আহমদ মদের চালান দুটির খালাস নেন। গত ২০ জুলাই সন্ধ্যার পর পৃথক দুই প্রতিষ্ঠানের নামে আসা কন্টেইনার দুটির পণ্য খালাসের জন্য শুল্কায়ন করা হয়।

Advertisement

কুমিল্লা ইপিজেডের হেশি টাইগার কোম্পানি লিমিটেডের টেক্সটাইল সুতা এবং ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে রোবিং মেশিং ঘোষণা দিয়ে মদের চালান দুটি আমদানি করে জালিয়াত চক্র। তবে যে দুটি আইপি দেখিয়ে মদের চালান খালাস হয়, সেসব আইপি দিয়ে আগেই পণ্য আমদানি ও খালাস নেয় প্রকৃত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান দুটি।

এদিকে মদ ভর্তি কনটেইনার দুটিতে পাসপোর্ট স্কচ হুইস্কি, ভ্যালান্টাইনস স্কচ হুইস্কি, ম্যাটেউস দ্য অরিজিনাল ওয়াইন, চিভাস রিগাল স্কচ হুইস্কি, জনি ওয়াকার রেড লেবেল/ব্ল্যাক লেবেল স্কচ হুইস্কি, টিচার্স হাইল্যান্ড স্কচ হুইস্কি, স্মারনফ ভদকা ও রেড রোজ ব্র্যান্ডের মদ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

ইকবাল হোসেন/এমকেআর/এএসএম