ফিচার

ইলা ঘোষের জন্ম ও উত্তম কুমারের প্রয়াণ

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

২৪ জুলাই ২০২২, রোববার। ৯ শ্রাবণ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ঘটনা১২০৬- কুতুবুদ্দিন আইবেক সিংহাসনে আরোহণ করেন।১৮২৩- চিলিতে দাস প্রথা বিলোপ।১৮৬১- নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশের দায়ে পাদ্রি জেমস লঙ কারারুদ্ধ হন।১৯১১- মার্কিন অভিযাত্রী পেরুর ষোড়শ শতকের ইনকা সভ্যতার অন্যতম প্রতীক মাচু পিচু শহর আবিষ্কার করেন।১৯৩৩- ২৭ বছর ধরে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক ‘দ্য রোমাঞ্চ অব হেলেন ট্রেন্ট’র প্রথম পর্ব প্রচারিত হয়।১৯৪৬- সমুদ্র তলদেশে প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

জন্ম১৮২৪- প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও সমাজসেবক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। ১৯১১- ভারতীয় বাঙালি বাঁশি বাদক ও সুরকার পান্নালাল ঘোষ।১৯৩০- প্রথম বাঙালি নারী ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রথম ভারতীয় নারী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইলা ঘোষ মজুমদার। ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার মাদারীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা যতীন্দ্র কুমার মজুমদার ছিলেন বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসের একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। ছোটবেলা থেকেই তার কারিগরি বিদ্যায় আকর্ষণ ছিল। ১৯৪৭ সালে তৎকালীন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী নিকুঞ্জ বিহারী মাইতির উদ্যোগে নারীদের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিংসহ শিক্ষার সব ক্ষেত্রে পড়ার দরজা খুলে দেওয়া হয়। ইঞ্জিনিয়ারিং ও ডাক্তারির দুটি প্রবেশিকা পরীক্ষায় ভালো ফল করলে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেই ভর্তি হন। ১৯৫১ সালে তিনি স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনার জন্য স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো যান।১৯৩১- প্রখ্যাত বাঙালি সুরকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৩৪- প্রখ্যাত বাঙালি সংগীতশিল্পী সুবীর সেন।

Advertisement

মৃত্যু১৮৭০- ঊনবিংশ শতকের সাহিত্যিক, মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কালীপ্রসন্ন সিংহ। ৯৭৫- বাঙালি কবি ও অনুবাদক অরুণাচল বসু। ১৯৮০- বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক উত্তম কুমার। কলকাতায় ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। উত্তম কুমারের আসল নাম অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। তিনি একজন ভারতীয়-বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক এবং পরিচালক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাকে ‘মহানায়ক’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল ‘দৃষ্টিদান’। এরপর ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ মুক্তি পাওয়ার পর তিনি চলচ্চিত্র জগতে স্থায়ী আসন লাভ করেন। সাড়ে চুয়াত্তর ছবিতে তিনি প্রথম সুচিত্রা সেনের বিপরীতে অভিনয় করেন। এই ছবির মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল উত্তম-সুচিত্রা জুটির সূত্রপাত হয়। বাংলা চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। ওগো বধূ সুন্দরী চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের সময় তিনি স্ট্রোক করেন এবং পরদিন মারা যান। ১৯৮০- সমাজবিজ্ঞানী ও সাহিত্য-সমালোচক বিনয় ঘোষ।

কেএসকে/এসইউ/জেআইএম