প্রচণ্ড গরম আর লোডশেডিংয়ে দিনাজপুরের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাই জেলাজুড়ে বেড়েছে হাতপাখার কদর। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে পাখা তৈরির কারিগরদেরও। এ গরমে কিছুটা শান্তির পরশ দিতে দিন-রাত তাল পাতা ও কাপড়ের তৈরি পাখা তৈরি করছেন তারা। আর তৈরি এসব পাখা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন পাখা বিক্রেতারা।
Advertisement
এছাড়া দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারেও এখন মিলছে বাহারি রকমের হাত পাখা। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তাল পাতার পাখা, সুতায় বুনানো পাখা, বিভিন্ন কাপড়ের তৈরি পাখা। প্লাস্টিকের তৈরি পাখারও চাহিদা রয়েছে বেশ।
দিনাজপুর পৌর শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম এলাকা বাহাদুর বাজারে দেখা মিলে বসির আলী নামের এক হাতপাখা ব্যবসায়ীর। নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলা সদরে তার বাড়ি। প্রায় ১০-১২ বছর ধরে সৈয়দপুর থেকে দিনাজপুরে এসে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হেঁটে হেঁটে বিক্রি করেন হাতপাখা।
বসির আলী জানান, দেড় মাস হলো দিনাজপুর শহরে এসেছেন। গরমের সময় তিনি তাল পাতা, সুতায় বুনানো ও বাঁশবেতের রঙিন হাত পাখা বিক্রি করছেন। অন্য সময় ছোটখাটো ব্যবসা বা দিনমজুরি করে সংসার চালান।
Advertisement
তিনি বলেন, পাখাগুলো বগুড়ায় তৈরি হয়ে থাকে। সেখান থেকে সৈয়দপুর উপজেলায় আসে। তিনি সৈয়দপুর থেকে পাইকারি কিনে দিনাজপুরে এসে খুচরা বিক্রি করেন। প্রকারভেদে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত তার কাছে পাকা রয়েছে। চাহিদাও ভালো। পাখা বিক্রি করে দিনে ৭০০ থেকে একহাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ বলেন, গ্রামাঞ্চলে এ পাখার কদর বেশি থাকলেও শহরের অনেকেই এখনো কেনেন এ পাখা। একটি রঙিন বাঁশবেতের পাখা কিনলাম ৬০ টাকা দিয়ে। এটা দেখতেও সুন্দর আবার বিদ্যুৎ না থাকলে বাতাসও করা যাবে। এ গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট তো লেগেই আছে। তাই হাত পাখার কোনো বিকল্প নাই। এ পাখার বাতাস অনেক প্রশান্তি দেয়।
এমদাদুল হক মিলন/এসজে/জেআইএম
Advertisement