লাইফস্টাইল

বেশি পানি পান করাও বিপজ্জনক, সতর্ক থাকার উপায়

পানির অপর নাম জীবন। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, ফলে একাধিক সমস্যা ফুটে ওঠে শরীরে। এ কারণে দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান করা উচিত সবারই।

Advertisement

তবে অনেকেই আছেন যারা প্রয়োজনের বেশি পানি পান করেন। পানি কম খেলে যেমন দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রশেন বা পানিশূন্যতা, তেমনই অতিরিক্ত পানি পান করলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ওভার হাইড্রেশন। ওভার হাইড্রেশনের সমস্যা বিরল হলেও অসম্ভব নয়।

মানুষের দেহের জলীয় পদার্থ পরিশুদ্ধ হয় কিডনিতে। তাই কম পানি পান করলে যেমন কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে, তেমনই অতিরিক্ত পানি পানেও বাড়তি চাপ পড়তে পারে কিডনির উপর।

ওভার হাইড্রেশনের সমস্যায় কিডনি অতিরিক্ত পানি পরিশুদ্ধ করতে পারে না। ফলে রক্তে সোডিয়ামের ঘনত্ব কমে যেতে পারে। এই সমস্যাকে বলে হাইপোন্যাট্রিমিয়া।

Advertisement

সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা করা না হলে এই সমস্যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে। এছাড়া ওভারহাইড্রেশন ডেকে আনতে পারে পেশির সমস্যাও।

কিডনি বা লিভারের রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও খেলোয়ারদের ওভারহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি। এবার জেনে নিন প্রাথমিক অবস্থায় ওভারহাইড্রেশনের লক্ষণ কী কী-

>> বমি বমি ভাব ও বমি>> মাথাব্যথা>> বিভ্রান্তি

চিকিত্সা না করা ওভারহাইড্রেশন আপনার রক্তে সোডিয়ামের বিপজ্জনকভাবে নিম্ন স্তরের হতে পারে। এটি আরও গুরুতর লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে, যেমন- পেশি দুর্বলতা, খিঁচুনি বা ক্র্যাম্প ও অজ্ঞান হয়ে পড়া।

Advertisement

দৈনিক কতটুকু পানি পান করবেন?

পুরুষ ও নারীদের ক্ষেত্রে সাধারণত দৈনিক পানির চাহিদা কিছুটা আলাদা। পুরুষদের ক্ষেত্রে দৈনিক ৩.৭ লিটার ও নারীদের ২.৭ লিটার প্রয়োজন। সাধারণভাবে মূত্রের রং স্বচ্ছ বা হালকা হলুদ হলে ধরে নেওয়া যায়, দেহে পানির পরিমাণ পর্যাপ্ত আছে।

তবে ব্যক্তি, স্থান ও আবহাওয়াভেদে এই হিসাব কিছুটা বদলে যেতে পারে। তাই দৈনিক কতটা পানি পান করতে হবে তা নিয়ে সংশয় থাকলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: হেলথলাইন

জেএমএস/জেআইএম