#আইপি জালিয়াতি করে কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুই প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি
Advertisement
#খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাফর আহমদ
আইপি জালিয়াতি ও কাস্টম কর্মকর্তাদের চোখে ধুলো দিয়ে বন্দর থেকে খালাস হয় দুই লরি বিদেশি মদ। বন্দর থেকে বের হওয়ার পর লরি দুটি শুক্রবার রাতে বেরিয়ে যাওয়ার পর অবশেষে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলাকা থেকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে তদন্ত চলমান বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক।
Advertisement
তিনি জানান, কুমিল্লা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের দুই প্রতিষ্ঠানের নামে টেক্সটাইলের মেশিন ও সুতা ঘোষণায় আমদানি হওয়া মদের চালান দুটি খালাসের দায়িত্বে ছিল চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার কেভি দোভাষ লেনের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাফর আহমদ।
কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে কাস্টমসের কাছে গোপন সংবাদে খবর আসে মদভর্তি দুটি কনটেইনার খালাস হবে। এরপর চালানটি আটকের দ্রুত পদক্ষেপ নেয় কাস্টম। কিন্তু ততক্ষণে জালিয়াত চক্রটি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকেই মদভর্তি লরি দুটি খালাস করে বন্দর থেকে বের করে নেয় বলে জানতে পারে কাস্টমসের এআইআর শাখা।
এরপর কাস্টমসের পক্ষ থেকে মদবাহী লরি দুটি আটকে র্যাব, হাইওয়ে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সংযোগিতা চাওয়া হয়। পরে র্যাব, হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় গাড়ি দুটির অবস্থান শনাক্ত করে কাস্টম। শুক্রবার দিবাগত রাতেই নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থেকে লরি দু্টি আটক করা হয়। পরে লরি দুটি খুলে মদের বড় চালানের সত্যতা পান।
ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক জাগো নিউজকে বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডের হাশি টাইগার কোং লিমিটেডের টেক্সটাইল সুতা ও ঈশ্বরদী ইপিজেডের বিএইচকে টেক্সটাইল লিমিটেডের নামে রোবিং মেশিং ঘোষণা দিয়ে মদের চালান দুটি আমদানি করে জালিয়াত চক্র। আমদানিতে আইপি (আমদানি অনুমতি) জালিয়াতি করা হয় বলে জানান তিনি।
Advertisement
ইকবাল হোসেন/এমআরএম/জেআইএম