অর্থনীতি

লেনদেনের নেতৃত্বে বস্ত্র, পতনের শীর্ষে সিরামিক

পতনের বৃত্তে আটকে যাওয়া শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই দরপতন হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে সবকটি মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

Advertisement

এই পতনের বাজারে দাম বাড়ার তালিকায় একটি খাতও নাম লেখাতে পারেনি। এর মধ্যে সব থেকে বেশি দাম কমেছে সিরামিক খাতের। আর পতনের বাজারে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বস্ত্র খাতের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) খাত ভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গেলো সপ্তাহের প্রতিটি কার্যদিবসে দরপতন হওয়ায় এক সপ্তাহেই ডিএসইর বাজার মূলধন ১২ হাজার ৮৪১ কোটি টাকা কমে গেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৯৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৩১টির।

অন্যদিকে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৫৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১০০ কোটি ১ লাখ টাকা বা ১৫ দশমিক ২৯ শতাংশ।।

Advertisement

এমন পতনের বাজারে গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১১ শতাংশ।

এছাড়া বাকি খাতগুলোর মধ্যে বিবিধ খাতের ১০ শতাংশ, প্রকৌশল খাত ১০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৮ শতাংশ, খাদ্য খাত ৬ শতাংশ, ব্যাংকখাত ৬ শতাংশ, জীবন বিমা ৫ শতাংশ, কাগজ ও মুদ্রণ ৫ শতাংশ, অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং খাত ৪ শতাংশ, সিরামিক খাত ৩ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাত ৩ শতাংশ, আইটি খাত ৩ শতাংশ এবং টেলিযোগাযোগ খাত ৩ শতাংশ অবদান রেখেছে লেনদেন।

লেনদেন বাকি খাতগুলোর অবদান তিন শতাংশের নিচে। এর মধ্যে চামড়া এবং সিমেন্টে খাতের অবদান ২ শতাংশ করে। আর সেবা ও আবাসন, মিউচুয়াল ফান্ড, ভ্রমণ এবং অবকাশ খাতের অবদান ১ শতাংশ করে।

এদিকে, গত সপ্তাহে সবকটি খাত পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি পতন হয়েছে সিরামিক খাতের। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ দাম কামার মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সাধারণ বিমা খাত।

Advertisement

এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড খাতের ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, আইটি’র ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ, খাদ্যের ৩ দশমিক ১১ শতাংশ, প্রকৌশলের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ব্যাংকের ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, সিমেন্টের ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ওষুধের ১ দশমিক ৩২ শতাংশ, চামড়ার ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ, টেলিযোগাযোগের ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং বিবিধ খাতের ৫ দশমিক ১৬ শতাংশ দাম কমেছে।

এছাড়া অ-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা লিজিং খাতের ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, জীবন বিমার ২ দশমিক ৯১ শতাংশ, বস্ত্রের ২ দশমিক ৮২ শতাংশ, সেবা ও আবাসনের ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ, পাটের ২ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ৪ দশমিক ৯৩ শতাংশ দাম কমেছে।

এমএএস/আরএডি/জিকেএস