দেশজুড়ে

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

রাস্তার দুই ধারে লাগানো সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে শেরপুর সদরের লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আ. হাইয়ের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রায় ১৫টি কাটা গাছ জব্দ করেন। বুধবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে গাছগুলো কাটা হয় বলে জানা গেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদরের কুসুমহাটি থেকে ইলশা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছরের পুরোনো রাস্তার দুই ধারের গাছগুলো সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি ছায়া দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয়, গাছগুলো থাকার ফলে রাস্তার দুই ধারের মাটি ভেঙে যেতো না। বুধবার গাছগুলো কাটার নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান আ. হাই। পরে গাছগুলো সরিয়ে নেন চেয়ারম্যানের লোকজন।

স্থানীয় বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা বাধা দিতে গিয়েছিলাম। তারা বলেছে যে ওপরের মহলের নির্দেশেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। পরে আমরা চলে এসেছি।’

একই ইউনিয়নের বাসিন্দা আলাল উদ্দিন বলেন, ‘ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গাছ কাটার বিষয়ে প্রতিরোধ করা হয়েছে, কিন্তু তারা মানেননি। তারা বলেছেন ওপরের নির্দেশেই গাছ কাটা হচ্ছে।’

Advertisement

পরিবেশবাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজ উদ্দিন বলেন, সরকারি বিধি না মেনে গাছ কর্তন সম্পূর্ণ অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। এ ঘটনার জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে লছমনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের আ. হাই বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গাছ কাটার যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। কে বা কারা গাছ কেটেছে তা আমার জানা নেই।’

শেরপুর সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুর রেজ্জাক বলেন, ‘সরকারি যত গাছ আছে তা বিক্রি করতে হলে বনবিভাগের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। বনবিভাগ থেকে মূল্য নির্ধারণ করিয়ে নিতে হবে। এসব নিয়ম না মানলে সেটি অবৈধ হবে। কিন্তু রাস্তার ধারে গাছ কাটার বিষয়ে কেউ বনবিভাগের কাছে অনুমতি বা অনাপত্তিপত্র নেননি। তার মানে এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।’

শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, ‘কাটা গাছগুলো জব্দ করে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে রাখা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান আ. হাই লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Advertisement

ইমরান হাসান রাব্বী/এসআর/জিকেএস