নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে রাস্তার জন্য জমি না রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের লোকজনের ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার মশুরী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গন ঘটে এ সংঘর্ষের ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সকালে মুশুরী এলাকার মোমেন মিয়া তার জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে একই এলাকার হাজী আব্দুল রফিক বাঁধা প্রদান করেন। পারিবারিক রাস্তার জন্য অন্তত ১০ ফুট রাস্তার জন্য জমি রেখে ঘর নির্মাণ করার জন্য চাপ দেন হাজী আব্দুল রফিক। এ নিয়ে তাদের দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে বিকেলে স্থানীয়ভাবে আপোষ-মীমাংসার মাধ্যমে রাস্তার জন্য ছয় ফুট জমি রেখে ঘর নির্মাণ করতে বলা হয়। পরে শনিবার সকালে মোমেন মিয়া ঘর নির্মাণ করতে গেলে ফের দু’পক্ষের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে বেলা ১২টার দিকে সেখানেও উভয় পক্ষ ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠেসোটা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মুশুরী ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহতদের মধ্যে মোমেন মিয়া, শিক্ষক হুমায়ুন কবির, সামায়ুন কবির, মোশারফ হোসেন, সাহেরা বেগম, পারভিন আক্তার, হাজী আব্দুল রফিক, হাজী আওলাদ হোসেন, তৌফিক মিয়া, রুহুল আমিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় হঠাৎ করে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্যান্য রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে উঠেন। এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। মীর আব্দুল আলীম/এমজেড/আরআইপি
Advertisement