বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তাই করছে। শুক্রবার রাতে রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শহর ক্যাম্পাসে কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বিজয় ও স্বাধীনতা নামের দুটি বাসের উদ্বোধন করার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, রাজেন্দ্র কলেজের শুধু পরিবহন সমস্যার সমাধান নয়, অন্য যে সমস্যাগুলো আছে তাও পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে। তিনি রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি অডিটোরিয়াম কাম ক্যাফেটরিয়া, পাঁচতলা বিশিষ্ট হোস্টেল নির্মাণ করার ঘোষণা দেন। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বিদ্যাপীঠ সরকারি রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। শত বছরের এই পুরনো কলেজটিতে পরিবহন সমস্যাটি ছিল প্রধান। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সহযোগিতায় ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের পুরনো চারটি বাসের সঙ্গে নতুন দুটি বাস পেলেন ছাত্র-ছাত্রীরা। ফরিদপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রায় ৩০ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করেন এই কলেজটিতে। বেশ কিছুদিন যাবৎ কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা মন্ত্রী ও সরকারের কাছে তাদের যাতায়াতের জন্য নতুন বাসের দাবি করে আসছিলেন। মন্ত্রীর সহযোগিতায় ও কলেজ ফান্ডের অর্থায়নে দুটি নতুন বাস প্রদান করা হয়।এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক সরদার সরাফত আলী, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহাবুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।উল্লেখ্য, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজটি ১৯১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৬৮ সালে কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়েছিল। বর্তমানে শহরের ঝিলটুলীতে ও শহরতলীর বায়তুলআমারন এলাকা ডিগ্রি ও অনার্স শাখা নামে রাজেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। ক্যাম্পাস দুটিতে উচ্চ মাধ্যমিকসহ ডিগ্রি ও ১৮টি বিষয়ে অনার্স এবং ২০টি বিষয়ে মাস্টার্স পড়ানো হয়। ছাত্রছাত্রীদের এক ক্যাম্পাস থেকে অন্য ক্যাম্পাসে যাতায়াতের জন্য মাত্র চারটি বাস রয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। দীর্ঘদিনের পুরনো এ বাস চারটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ সময় নষ্ট থাকে বাসগুলো। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। দুটি নতুন বাস সংযুক্ত হওয়ায় চার কিলোমিটারের দূরত্বের ব্যবধানে এই কলেজে লেখাপড়া করা ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের ভোগান্তি কিছুটা দূর হবে বলে মনে করছেন সকলে। এস.এম. তরুন/এমজেড
Advertisement