প্রথম ম্যাচে বড় জয়ের পর কোয়ার্টারে এক পা দিয়েই রেখেছিল পাকিস্তান। এবার কানাডাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করে নিল পাকিস্তানের যুবারা। কানাডার করা ১৭৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৫৫ (৯ ওভার ১বল) বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল পাকিস্তান।সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে কানাডার দেওয়া ১৭৮ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার গওহার হাফিজ ও জিশান মালিক মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েন। ব্যক্তিগত ২০ রান করে আকাশ গিলের বলে আউট হন পাক অধিনায়ক হাফিজ। এরপর মুহাম্মদ আসাদ ব্যক্তিগত মাত্র ছয় রানে মামিক লুথাররের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাইফ বাদারকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগুতে থাকেন ওপেনার জিশান মালিক। সাইফ ছয় রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হলেও ১২২ বলে নয় চার ও এক ছক্কায় ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালিক। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে। অন্য ব্যাটসম্যান হাসান মোহসিন অপরাজিত থাকেন চার রানে। এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৩ ওভারে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে কানাডা যুবদল। শুরুটা ছিল অবশ্য তাদের নড়বড়ে। দু’রানেই হাসান মোহসিনের বলে ওপেনার থুরসান্ত আনান্থারাজাকে হারায় কানাডা; কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আমিশ তাপোলোকে নিয়ে ৬০ রানের জুটি গড়েন ভাবিন্দু আদিহেতি। কিন্তু এ জুটির দু’জনই শাহদাব খানের শিকার হন। তবে আদিহেতি আউট হওয়ার আগে ৫১ রানে দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে যান। তাপোলোর ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। এরপর মিডলঅর্ডাওে খেলতে নেমে ৪৪ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন কানাডার দলপতি আবরাশ খান। যদিও অপরপ্রান্তে ছিলো অন্যদের আসা-যাওয়ার মিছিল।পাকিস্তানিদের মধ্যে হাসান খান ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। আর দুই উইকেট নেন শাদাব খান। একটি করে উইকেট পান হাসান মোহসিন ও আহমেদ শফিক। আইএইচএস
Advertisement