পঞ্চগড়ে মানা হচ্ছে না এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দিনে কয়েক দফায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে।
Advertisement
বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নর্থ বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (আরইবি) এই দুই কোম্পানির মাধ্যমে পঞ্চগড় জেলার পাঁচ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ মিলছে অর্ধেকেরও কম।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুই কোম্পানির আওতায় মোট বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ২৬ মেগাওয়াট। এজন্য ১-২ ঘণ্টার পরিবর্তে দিনে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।
তবে জেলা শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলাসহ গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। এসব এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়ায় এলাকা নির্ধারণ করে ক্রমান্বয়ে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।
Advertisement
মসজিদপাড়া এলাকার কলেজশিক্ষক কুদরত ই খোদা মুন বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টার কথা বলা হলেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে। মঙ্গলবার থেকে দিনে ৮-১০ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে।’
রামের ডাংগা মহল্লার এসএসসি পরীক্ষার্থী রুকসানা বেগম বলে, ‘তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে থাকা যায় না। ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছি না। অথচ সামনেই আমাদের পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবো।’
এ বিষয়ে পঞ্চগড় নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান বলেন, সারাদেশের মতো আমরাও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, জেলায় বর্তমানে দিনে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু মঙ্গলবার বরাদ্দ মিলেছে মাত্র ২৬ মগাওয়াট। তাই ১-২ ঘণ্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা মানা যাচ্ছে না।
Advertisement
সফিকুল আলম/এসআর/এএসএম