মনের আশা পূরণে কত আমলই না করে থাকে মানুষ। এসব আমলের মধ্যে ‘ইসমে আজম’ও একটি। কেউ যদি ‘ইসমে আজম’-এর আমল করেন তবে তার মনের আশা পূরণ হয়ে যায়। নবিজীর বর্ণনায় ‘ইসমে আজম’ কোনটি; যার আমল করলেই পূরণ হবে মনে একান্ত আশা?
Advertisement
নিজের মনের একান্ত চাওয়াগুলো কবুলের গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো ‘ইসমে আজম’-এর আমল। এই ‘ইসমে আজম’মূলত মহান আল্লাহ তাআলার পবিত্র নাম। যা হাদিসের বর্ণনা থেকেই জানা যায়। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম‘ইসমে আজম’ সম্পর্কে কিছু বিশেষ বাক্যের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তা এমন-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনু বুরাইদাহ আল-আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু তাঁর বাবা থেকে বর্ণনা করেছেন, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তিকে তার দোয়া এভাবে বলতে শুনেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنِّي أَشْهَدُ أَنَّكَ أَنْتَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الأَحَدُ الصَّمَدُ الَّذِي لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
Advertisement
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নি আশহাদু আন্নাকা আংতাল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদুল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আর সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমিই একমাত্র আল্লাহ, তুমি ছাড়া অন্য কোনো মাবুদ নেই, তুমি একক সত্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ, যিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি, আর তার সমকক্ষ কেউ নেই।’
বর্ণনাকারী বলেন, (ওই ব্যক্তির মুখে এ বাক্যগুলো শুনে) নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন বললেন- ‘সেই মহান সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আমার জীবন! নিঃসন্দেহে এ লোক আল্লাহ তাআলার মহান নামের (‘ইসমে আজম’-এর) ওসিলায় তার কাছে প্রার্থনা করেছে; যে নামের ওসিলায় দোয়া করা হলে তিনি কবুল করেন এবং যে নামের অসিলায় (কোনো কিছু সাহায্য) প্রার্থনা করা হলে তিনি তা দান করেন।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
এ হাদিসের আলোকে দুনিয়ার অনেক হাদিস বিশারদ বলেছেন, এটিই হলো সেই দোয়া; যেটিকে ‘ইসমে আজম’ বলা হয়।
Advertisement
আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ হাদিসটিকে ‘ইসমে আজম’-এর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ও বিশুদ্ধ হাদিস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। (ফাতহুল বারি)
এ ‘ইসমে আজম’ পড়ে আল্লাহ তাআলার কাছে মনের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে দোয়া করলে অবশ্যই তিনি বান্দার মনের সব ভালো ও কল্যাণকর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেন।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিজেদের একান্ত কল্যাণকর চাওয়া-পাওয়া পূরণে আল্লাহর প্রতি আন্তরিকতা, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, ভক্তি এবং আস্থা-ভরসা রেখে সংক্ষেপে ‘ইসমে আজম’-এর আমল করা। আল্লাহকে ডেকে ডেকে মনের চাওয়া-পাওয়াগুলো পূরণের আবেদন করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিজেদের জীবনের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ‘ইসমে আজম’-এর আমল যথাযথভাবে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এএসএম