মানুষ মরণ শীল। এ পৃথিবী ছেড়ে মানুষকে একদিন পরপারে পাড়ি জমাতে হবে। মানুষের শরীর থেকে রূহ বা আত্মা বেরিয়ে গেলেই মানুষ মৃত বলে পরিগণিত হয়। মানুষের মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তির জন্য জীবিত মানুষের কিছু করণীয় রয়েছে। তন্মধ্যে গোসল অন্যতম। এ প্রসঙ্গে কিছু কথা-ক. মৃত ব্যক্তির গোসল, কাফন-দাফন তাড়াতাড়ি করা। মৃত ব্যক্তি কারো বাড়িতে বেশি সময় পড়ে থাকা ঠিক নয়।খ. মৃত ব্যক্তিরে গোসল দেয়া ফরজে কিফায়া।গ. মৃত ব্যক্তি লা-ওয়ারিস হলে তার গোসলের দায়িত্ব সামষ্টিকভাবে সকল মুসলমানের ওপর।ঘ. গোসল ব্যতিত কোনো মৃত ব্যক্তিকে দাফন করা হলে, যারা জানবে তারা সবাই গোনাহগার হবে।ঙ. গোসল ছাড়া কোনো মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখা হলে এবং উপরে মাটি দেয়া না হলে তাকে কবর থেকে উঠিয়ে গোসল দেয়া আবশ্যক। উপরে মাটি দিয়ে ফেললে কবর থেকে উঠানো ঠিক নয়।চ. কাফন পরানোর পর যদি মনে হয় যে মৃত ব্যক্তির কোনো অংগ ধৌত করা হয়নি; এমতাবস্থায় কাফন খুলে ধুয়ে নিতে হবে। যদি সামান্য অংশ শুকনা থাকে যেমন কোনো আঙ্গুল বা আঙ্গুল সমপরিমান শুকনো থাকলে কাফন খুলে ধৌত করার প্রয়োজন নেই।ছ. মৃত ব্যক্তিকে একবার গোসল দেয়া ফরজ। তিনবার দেয়া সুন্নাত।জ. পুরুষ নারীর এবং নারী পুরুষের গোসল দিতে পারে না। তবে স্ত্রী স্বামীর গোসল দিতে পারবে। স্বামী তার স্ত্রীর গোসল দিতে পারবে না। কারণ স্ত্রীর ইনতিকালের সাথে সাথেই বিয়ে শেষ হয়ে যায়।ঝ. অপ্রাপ্ত বালক-বালিকাকে নারী-পুরুষ সবাই গোসল দিতে পারবে।ঞ. মৃত ব্যক্তির প্রিয়জনদেরই গোসল দেয়া উত্তম। পদ্ধতি জানা না থাকলে অন্য কেউ গোসল দিবে।ট. নাবজাতক শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পর পরই ইন্তিকাল করলে তাকে গোসল দেয়া ফরজ। মৃতাবস্থায় ভূমিষ্ট হলেও গোসল দেয়া ভালো।মৃত ব্যক্তির গোসলের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা উক্ত বিষয়ে সতর্ক হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস
Advertisement