দেশজুড়ে

খাদ্য সংরক্ষণাগারের সংস্কার কাজ যেন অনিয়মের গুদাম

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা খাদ্য সংরক্ষণাগার (গুদাম) সংস্কারে নিম্নমানের মালামাল ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সংস্কার কাজে ব্যবহৃত মালামাল ও কাজের ধরন দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী। কাজে অনিয়ম হলেও সেখানে যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয় খাদ্য কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলেও কোনো কিছুর তোয়াক্কা নেই সংশ্লিষ্টদের।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া বন্দরে অবস্থিত খাদ্য সংরক্ষণাগারের সংস্কার কাজে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নিম্নমানের ইট, বালু, সিমেন্ট ও মরিচা ধরা রড দিয়ে সংস্কার এবং সীমানা প্রাচীরের কাঁটাতারের বেড়ায় মরিচার ওপরই রংয়ের কাজ করছেন। এ সংস্কার কাজে সরকারের বিনিয়োগকৃত প্রায় এক কোটি পয়ত্রিশ লাখ টাকা যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না।

খাদ্য সংরক্ষণাগারের ঘাটলা নির্মাণ দায়সারাভাবে করা হচ্ছে। ঘাটলার জন্য বসানো পিলারের ওপর যেকোনো কিছু দিয়ে আঘাত করলেই ভেঙে পড়ছে।

সংরক্ষণাগারের প্রধান ফটক সিডিউলের নিয়ম না মেনে ১৮ ফুটের স্থলে ১৪ ফুট এবং মুভিং গেট না দিয়ে প্রেসার গেট করা হয়েছে। সংরক্ষণাগারের চত্বর, ভবনের দেওয়াল, ফ্লোর, ছাদের আস্তরণ, ড্রেন, পানি সরবরাহ ও স্যানিটারি ব্যবস্থাপনা, বৈদ্যুতিক সংস্কার, সিভিল ওয়ার্ক সর্বত্রই দায়সারাভাবে কাজ করা হচ্ছে।

Advertisement

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, টেন্ডার সিডিউল কার্যাদেশ অনুযায়ী আমুয়া খাদ্য সংরক্ষণাগারের ভবন ও ফ্লোর পাকা, সিভিল ওয়ার্ক, স্যানিটারি ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা, বৈদ্যুতিক কাজ, প্রধান ফটক নির্মাণ, রংয়ের কাজে ১ কোটি ৩৪লাখ ৯৩ হাজার ৭৩৯ টাকা ৫৬ পয়সা বরাদ্দ রয়েছে।

এ কাজটির সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শাহ আলম মোল্লা জানান, নৌ-বাহিনীর মাধ্যমে আমরা কাজটি নিয়েছি। এ কাজের সার্বিক কর্তৃপক্ষ নৌ-বাহিনী। তারা এটা তদারকি করছে। এখন কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কোনো অভিযোগের বিষয়ে জানতে হলে এখানে নৌবাহিনীর একজন কর্নেল দেখাশোনা করেন, তার কাছ থেকেই জানতে হবে।

এ ব্যাপারে গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেমায়েত উদ্দিন জানান, কাজের মান খুবই খারাপ। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হোসাইন জানান, ওই কাজের মান নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে। খাদ্য সংরক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে অবহিত করলে আমিও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানিয়েছি।

Advertisement

তবে কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাদ জগলুল ফারুক জানান, আমুয়া খাদ্য সংরক্ষণাগার সংস্কারের বিষয়টি আমি জানি না। এটা আমার আওতার বাইরে।

আতিকুর রহমান/এফএ/জেআইএম