নমুনা পরীক্ষা না করেই করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার মামলায় আদালত ঘোষিত রায়ের কপি হাতে পেলে ডা. সাবরিনার চিকিৎসক নিবন্ধন বাতিল হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।
Advertisement
এক্ষেত্রে রায়ের কপি আসার পর নীতিনির্ধারকরা আলোচনায় বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে আদালত থেকে সরাসরি কোনো নির্দেশনা এলে আলোচনা ছাড়াই চিকিৎসক নিবন্ধন বাতিল হবে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিএমডিসির রেজিস্ট্রার আরমান হোসেন জাগো নিউজকে এমনটিই জানিয়েছেন। তিনি জানান, কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আদালতের রায় হলে তার নিবন্ধন বিষয়ে আমাদের আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসক নিবন্ধন বাতিল হয়।
আরমান হোসেন আরও জানান, আমাদের কাছে এখনো রায়ের (ডা. সাবরিনার) কপি এসে পৌঁছায়নি। কোর্ট আমাদের এ বিষয়ে জানালে তখন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
করোনাকালীন নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আট আসামির ১১ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন দণ্ডবিধির পৃথক তিন ধারায় এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ছয় আসামি হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
এএএম/এমকেআর/এএসএম
Advertisement