নদী ও জলাভূমির কাছের জমিতে শিল্প কারখানা বা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অনুমতি নিতে হবে। এজন্য দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
Advertisement
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর ওই অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। এক্ষেত্রে সতর্ক না থাকলে নদী ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ডিসিদের এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নদী রক্ষা কমিশনের কর্মকর্তারা।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, এখন দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা ও পরিবেশ রক্ষার দিকটি বিবেচনা করে আমাদের এগোতে হবে। আমরা চাইছি না কোনো শিল্প, যারা পরিবেশ দূষিত করে সেগুলো নদীর আশপাশে হোক। এজন্য শিল্প-কারখানার অনুমতি দেওয়ার আগে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অনাপত্তি নিতে হবে। এজন্য হাইকোর্টেরও রায় আছে, আমাদেরও কাজের অংশ। সেই বিষয়টিই পদ্মা সেতুর ওপাশের ২১টি জেলা প্রশাসককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ধারণা করছি। পদ্মা সেতু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় নতুন করে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে। সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
গত ২৭ জুন ডিসিদের কাছে এ চিঠি পাঠায় নদী রক্ষা কমিশন। চিঠিতে বলা হয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নদী ও জলাভূমিসংলগ্ন জমিতে যেকোনো ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগে অবশ্যই কমিশনের অনাপত্তি নিতে হবে।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় শিল্পায়ন যাতে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই হয়, নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় যাতে দখল, দূষণ ও ভরাটমুক্ত রাখা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানানো হয় চিঠিতে।
এছাড়া চিঠিতে হাইকোর্টের ২০১৯ সালের একটি আদেশের কথাও উল্লেখ করা হয়। যাতে বলা হয়েছে, দেশের সব নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়ের আশপাশে নতুন প্রকল্প গ্রহণে সরকারের সব সংস্থা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে জানাবে। একই সঙ্গে কমিশন থেকে অনাপত্তি নিতে হবে।
আরএমএম/এমএইচআর/জিকেএস
Advertisement