কোভিড এক গুরুতর ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশ করলেই তা নানা অসুখের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে। এবার করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।
Advertisement
প্রতিদিনই বাড়ছে কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। পাশাপাশি মৃ্ত্যুও হচ্ছে। তাই সাবাইকে কোভিড নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এখনো অনেকেই ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখছেন না কিংবা মাস্কও পরছেন না যথাযত উপায়। এ কারণে করোনা সংক্রমণ আরও বাড়ছে।
এখন করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট কাবু করছে সবাইকে। এই উপ ধরনের নাম বিএ.৫। জানা গেছে, আগের অ্যান্টিবডি এই ভাইরাসকে রুখে দিতে পারছে না। ওমিক্রনের এই উপ ধরন সবখানেই দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাই সতর্ক হয়ে যান।
এর উপসর্গগুলো কী কী?
Advertisement
এক্ষেত্রে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এর মতোই চারিত্রিক বৈশিষ্ট রয়েছে। সমস্যা যদিও খারাপ যায় না, তবে একবার খারাপ হতে শুরু করলে জটিলতা দেখা দিতেই পারে।
এক্ষেত্রে গবেষকরা জনাচ্ছেন, এই সাব ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ লক্ষণ হলো গলাব্যথা। এমনকি এই উপসর্গ রোগের প্রাথমিক অবস্থাতেই দেখা দিতে পারে।
এ সময় গলব্যথা হলে সাধারণভাবে নেবেন না। কারণ এটিও হতে পারে কোভিডের লক্ষণ। এমনকি পারলে ব্যথা কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন কিংবা কোভিড টেস্ট করান দ্রুত।
নিজেকে অন্যদের থেকে দূরে রাখুন। এভাবেই আপনি ভালো থাকতে পারবেন। ব্যথা কমাতে হালকা গরম পানিতে লবণ ঢেলে গার্গল করুন।
Advertisement
২০২২ সালে বিএমজে জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, গলাব্যথা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সময় বেশি দেখা গিয়েছিল। তবে ওমিক্রন আক্রান্ত ২৪ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে শরীরে ফুটে উঠছে এই লক্ষণ। এছাড়া দেখা যাচ্ছে গলা ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও এই সময়ে দেখা দিচ্ছে। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।
এর সঙ্গে জ্বর, শরীরে ব্যথা, হাঁচি-কাশি, সর্দি ইত্যাদি লক্ষণও প্রকাশ পেতে পারে। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে স্বাদ গন্ধ চলে যেতে পারে। এমনকি শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
সতর্ক থাকবেন কীভাবে?
এ সময় কোভিড-১৯ থেকে বাঁচতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। পারলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। না হলে বারবার হাত ধুতে হবে সাবান পানিতে। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। পারলে বুস্টার ডোজ নিয়ে নিন।
জেএমএস/জেআইএম