দেশজুড়ে

খুলনার ২ উপজেলায় বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ৬৯ জন

দলীয় প্রতীকে এবারই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। সে কারণে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন অন্য দলের নেতারাও। এক্ষেত্রে কৌশলী ভূমিকা পালন করছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বিশেষ করে বিগত ইউপি নির্বাচনে পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া উপজেলার ২২৪ ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে বিএনপি জয়ী হলেও এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়নের সম্ভাব্য ১৭ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অপরদিকে ডুমুরিয়ায় চেয়েছেন ৫২ জন।পাইকাগাছায় বিএনপির সমর্থনে নির্বাচিত গতবারের ৭ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে দু’জন ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন এবং অন্য একজন যোগদানের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদটি দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হবে। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জয়লাভ করলেও পরবর্তীতে গদাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আব্দুস সালাম বাচ্চু ও চাঁদখালীর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এছাড়া লস্কারের চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামন তুহিন আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত বিএনপির দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ১নং হরিঢালী ইউনিয়নে থানা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক শেখ আমিনুল ইসলাম, ২নং কপিলমুনি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু, যুবদল নেতা শেখ শামছুল আলম পিন্টু, ৩নং লতায় ইউপি সদস্য ও থানা মহিলা দলের আহ্বায়ক লক্ষ্মী রানী মন্ডল, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম গাজী, থানা কৃষক দলের সহ-সভাপতি আমিনুর ইসলাম বাহার। ৪নং দেলুটীতে সুজিত কুমার মন্ডল ও অ্যাড. সৌরেন্দ্রনাথ মন্ডল, ৫নং সোলাদানায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম এনামুল হক, ৬নং লস্কর ইউনিয়ন থেকে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেননি। ৭নং গদাইপুর থেকে থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জামশেদ হোসেন। ৮নং রাড়ুলী থেকে ইউপি সদস্য আ. সাত্তার মোড়ল, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি বাবু সামাদ। ৯ নং চাঁদখালী থেকে সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা মুক্তিযোদ্ধা জোয়াদুর রসুল বাবু, বিএনপি নেতা মোল্লা মনিরুল ইসলাম ও মো. ফরিদ হোসেন এবং ১০নং গড়ইখালী থেকে সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা কলিঙ্গ রাজ মন্ডল।অপরদিকে ডুমুরিয়া উপজেলার ১নং ধামালিয়া ইউনিয়নের দলের মনোয়ন পেতে জহুরুল হক ও এসএম হুমায়ুন কবির মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনুরূপভাবে ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নে গাজী তফসির আহমেদ শামীম, ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়নে জিএম আমানুল্লাহ, আমিনুল ইসলাম ওরফে ইসলাম মাস্টার, আশিকুর রহমান, ৪নং খর্ণিয়া ইউনিয়নে শেখ দিদার হোসেন দিদার, আবুল কাশেম মোল্লা, এফএম রফিকুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, ৫নং আটলিয়া ইউনিয়নের বদরুজ্জামান তসলিম, এমএম সালাম মহালদার, আমিনুল ইসলাম মোড়ল, মাহাবুব আলম, মো. মনিরুল হক, ৬নং মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে আবুল কালাম শামসুউদ্দীন, আব্দুল মালেক, শাহাদাৎ হোসেন, শাহিদুজ্জামান শহিদ, নজরুল ইসলাম মোড়ল, মাওলানা নজরুল ইসলাম, আইয়ুব মাহমুদ, শরিফ সরদার, শফিকুল ইসলাম, ৭নং শোভনা ইউনিয়নে শেখ মতিয়ার রহমান বাচ্চু, শেখ হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান লিটন, শেখ আ. গফফার, এসএম আনোয়ার হোসেন, ৮নং শরাফপুর ইউনিয়নে হেমায়েত রশিদ খান, শেখ শাহানুর ইসলাম, মোল্লা হুমায়ুন কবির, খান মিজানুর রহমান, আজমল হুদা মিঠু, খান রাজু আহমেদ, ৯নং সাহস ইউনিয়নে মোল্যা মাহাবুর রহমান, শেখ জয়নাল আবেদীন, সরদার মোজাফফার হোসেন, শেখ মশিউর রহমান লিটন, ১০নং ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নে মোল্যা কবির হোসেন, শেখ শাহিনুর রহমান, মোল্যা ইকরামুল হোসেন, ১১নং ডুমুরিয়া সদরে শুধু মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ, ১২নং রংপুর ইউনিয়নে পঞ্চরাম বিশ্বাস, শিশির বসাক, উল্লাস বিশ্বাস, অনিমেষ বালা, ১৩নং গুটুদিয়া ইউনিয়নে মাওলানা খলিলুর রহমান, জিএম সাইফুল ইসলাম, মহসিন বিশ্বাস ও ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়নে একমাত্র আগ্রহী প্রার্থী অরুন কুমার গোলদার মনোয়নপত্র গ্রহণ ও জমা দিয়েছেন। এখন প্রতীক্ষার পালা কার নাম আসবে দলের নীতি নির্ধারকদের নামের তালিকায়।আলমগীর হান্নান/এসএস/আরআইপি

Advertisement