দেশজুড়ে

উঠান বৈঠকে ব্যস্ত সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা

বইতে শুরু করেছে মাদারীপুরের শিবচরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। চায়ের দোকার, হাট-বাজারে জমে উঠেছে সাধারণ ভোটারদের চায়ের আড্ডা।  প্রায় প্রতিদিনই এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা সভা সমাবেশ, উঠান বৈঠক করছেন। নানান আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছুটছেন সাধারণ ভোটারদের কাছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শিবচর উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নে সম্ভাব্য নতুন পুরাতন চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ছুটছেন। এর মধ্যে উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহসিন উদ্দিন সোহেল বেপারী এলাকায় নিয়মিত ভোটারদের কাছে ছুটছেন। দিচ্ছেন নানান ধরনের আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতি। এর মধ্যে তিনি ১০/১২টি উঠান বৈঠক ও সভা সমাবেশ করেছেন। সোহেল বেপারী নবীন ও উচ্চশিক্ষিত হওয়ায় ভোটারদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছেন। এছাড়াও প্রথমবারের মতো দলীয় প্রর্তীকে নির্বাচন হওয়ার কারণে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নিজ নিজ দলীয় হাই-কমান্ডের নেতাদের কাছে ছুটছেন। বিভিন্ন দলীয় সভা সমাবেশে সাধারণ ভোটারদের নিয়ে দলীয় হাই-কমান্ডের দৃষ্টি আর্কষণের চেষ্টা করছেন। সাধারণ ভোটার সালাউদ্দিন মোল্লা বলেন, মোহসিন উদ্দিন সোহেল বেপারীর মতো নবীন চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে সাধারণ মানুষ স্বাগত জানাবে। মো. সোবাহান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসেবে এমন ব্যক্তিকে চাই যার মধ্যে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ-দুর্নীতি, অনিয়ম নেই। উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলে মাঠ পর্যায়েও কিছুটা সমস্যা হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে একাধিক প্রার্থী থাকার কারণে দলীয় প্রার্থী যাচাই করা কঠিন হবে।  চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহসিন উদ্দিন সোহেল বেপারী বলেন, কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমার বাবা জনগণের জন্য মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত কাজ করেছেন। আমিও হতদরিদ্র, গরীব ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এই ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো। তিনি আরো বলেন, আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবো বলে শতভাগ আশাবাদী। শিবচর উপজেলা নির্বাচন অফিসার এবিএম আজমল হোসেন বলেন, ১৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা গঠিত। এর মধ্যে আগামী মার্চে ১৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বাকী ৩টি  ইউনিয়নে পরে নির্বাচন হবে।উল্লেখ্য, এবারই প্রথম দলীয় প্রর্তীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কারণে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। নাসিরুল হক/এসএস

Advertisement