শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক সংকটময় অবস্থা কোনোভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। উল্টো ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে দেশটির অবস্থা। সোমবার থেকে সারা দেশে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। এমন অবস্থার মাঝেই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলছে লঙ্কান ক্রিকেট দল। এর আগে আতিথ্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকেও।
Advertisement
তবে আগামী মাসে হতে যাওয়া এশিয়া কাপটি নিজেদের দেশে রাখতে পারছে না শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এশিয়া কাপের খেলা হবে আরব আমিরাত তথা দুবাই ও শারজায়। তবে আসরের আয়োজক থাকবে শ্রীলঙ্কাই।
শুক্রবার এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানাচ্ছে ক্রিকইনফো। এর পেছনে বড় কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে শ্রীলঙ্কার জালানি তেলের সংকটকে। এই অবস্থার মাঝেও নিজেদের দেশে এশিয়া কাপের খেলা আয়োজনের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল লঙ্কানরা।
কিন্তু অবস্থার উন্নতির কোনো ছাপ পাওয়া যাচ্ছে না বিধায়, শ্রীলঙ্কাকেই আয়োজক রেখে এশিয়া কাপ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে আরব আমিরাতে। বাছাইপর্বসহ মোট ৯ দলের অংশগ্রহণে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এবারের এশিয়া কাপ। মূল আসর চলবে ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
Advertisement
আরব আমিরাতে সরিয়ে নেওয়ার খবর নিশ্চিত করে এসএলসির প্রধান নির্বাহী বলেছেন, 'দুই দলকে স্বাগত জানানো এবং দশ দলকে স্বাগত জানানো এক নয়। দশটি আলাদা আলাদা (টিম) বাসে আপনাকে জ্বালানি দিতে হবে। প্রতিটি দলের লাগেজ ভ্যানেও জ্বালানি দিতে হবে। ফ্লাডলাইটের জেনারেটরের জন্যও জ্বালানির ব্যবস্থা করতে হবে।'
আগামী শুক্রবার (২২ জুলাই) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে এশিয়া কাপের সূচি। লিগ পর্বে দুইবার মুখোমুখি হতে পারে ভারত ও পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই এ দুই দেশের সমর্থকরা নিজেদের দেশের খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত হবে। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতিতে বিপুলসংখ্যক বিদেশি দর্শককে নিরাপত্তা দেওয়াও কঠিন চ্যালেঞ্জ।
তাই সবকিছু বিবেচনা করেই শ্রীলঙ্কাকে আয়োজক রেখে আরব আমিরাতের মাঠে এশিয়া কাপ খেলানো হবে এবার। যার ফলে পাঁচ বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো আমিরাতে হবে এশিয়া কাপের খেলা। এর ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের সবশেষ এশিয়া কাপও হয়েছিল আমিরাতে।
এসএএস/জেআইএম
Advertisement