আইন-আদালত

মা-বাবা-মেয়ে নিহত: জন্ম নেওয়া শিশুর বিষয়ে হাইকোর্টে উপস্থাপন

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত গর্ভবতী মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া শিশু ও তার পরিবারের বিষয়টি হাইকোর্টে উপস্থাপন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহাসিব হোসেন।

Advertisement

রোববার (১৭ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে বিষয়টি নজরে আনেন তিনি। এ তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহাসিব হোসেন নিজে।

বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের কপি আদালতে উপস্থাপন করে ওই আইনজীবী শিশুর দেখভাল ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে স্বঃপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে আর্জি জানান। তখন আদালত আইনজীবীকে বিষয়টি আবেদন আকারে নিয়ে আসতে বলেন।

ব্যারিস্টার মাহাসিব হোসেন বলেন, ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত হন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী, তার স্বামী ও মেয়েসহ তিনজন। ওই ঘটনায় বিভিন্ন মাধ্যমে খবর দেখার পর রাত থেকে কিছুই ভালো লাগছিলো না। তাই কোর্টে আবেদন করবো বলে ভাবছিলাম।

Advertisement

‘এত দ্রুত আবেদন প্রস্তুত করা সম্ভব না হওয়াই বিষয়টি আদালতের নজরে এনে সুয়োমোটো আদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আদালত আবেদন আকারে নিয়ে আসতে বলেছেন। এখন দেখি শিশুসহ ওই পরিবারের বেঁচে থাকা সদস্যদের দায়িত্ব কেউ নেন নাকি। তরপরে আবেদন করার চিন্তা রয়েছে।’

শনিবার (১৬ জুলাই) ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত হন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী, তার স্বামী ও মেয়েসহ তিনজন। তবে মারা যাওয়ার আগে অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেট থেকে (পেট ফেটে) সড়কেই ভূমিষ্ঠ হয় একটি ফুটফুটে কন্যা শিশু।

শুধু তাই নয়, অলৌকিকভাবে বেঁচেও যায় নবজাতকটি। ওই নবজাতককে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের শিশু সন্তান সানজিদা। তাদের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার রায়মণি এলাকায়।

Advertisement

এফএইচ/এমআরএম/জিকেএস