অর্থনীতি

দিল্লিতে জনপ্রিয় হচ্ছে বাংলাদেশি পণ্য: গৌতম ঘোষ

 

ব্র্যান্ড হিসেবে বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গে ‘প্রাণ’ এর একটি অ্যাটাচমেন্ট আগে থেকেই আছে। আগে ভারতের পূর্বাঞ্চল কিংবা উত্তর-পূর্ব ভারতে অনেক বেশি বেশি পাওয়া যেত। সম্প্রতি সেটা অন্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে, বিশেষ করে দিল্লিতে। দিল্লির বহু জায়গায় এখন প্রাণের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে এবং এটা ক্রমে বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে জনপ্রিয়তাও।

Advertisement

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সিনিয়র ডিরেক্টর এবং রিজিওনাল হেড অব আফ্রিকা, মিডল ইস্ট ও সাউথ এশিয়া গৌতম ঘোষ একথা বলেন। দিল্লির এফআইসিসিআই ভবনে ভারত সফররত সাংবাদিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ভারতে বাংলাদেশের বড় কোম্পানিগুলোর ব্যবসা প্রসারসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।

মতবিনিময় শেষে জাগো নিউজের এক প্রশ্নের জবাবে গৌতম ঘোষ বলেন, প্রাণের বিস্কিটের যে প্রোডাক্টগুলো আছে সেগুলো এখানে বেশি জনপ্রিয়। এর মধ্যে একটা আছে যে পটাটা। এটা সবাই খুব পছন্দ করে। নর্থ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশে যাওয়া টক-ঝাল-মিষ্টি একটা স্বাদ। এটা সবাই খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। শুধু বাঙালিরা নয় এখন এখানকার অবাঙালিরাও এখন অনেকে এটা কিনছে।

এর আগে একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে এফআইসিসিআই সম্পর্কে ব্রিফ করেন তিনি।

Advertisement

তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগে বাংলাদেশের যে নীতিমালা সেখানে কিছু সমস্যা আছে। জিনিসটা এতটা উন্মুক্ত না। যে কারণে বাংলাদেশের বিনিয়োগ এখানে আসতে পারছে না। বাংলাদেশ যদি তাদের এই বাজারটা বড় করতে চায় এখানে সুযোগ আছে।

‘বাংলাদেশের বেশকিছু প্রোডাক্টের এখানে চাহিদা আছে, কিন্তু নীতিমালার কারণে সেটা হচ্ছে না। বিনিয়োগকারীরা যদি এখানে এক্সপোর্ট করতে পারে, এখানে যদি পণ্য উৎপাদন করতে পারে তাহলে তাদের জিনিসটা অনেক সহজ হবে। বাংলাদেশের উচিত বিদেশি বিনিয়োগ করার বিষয়টা আরও সহজ করা।’

গৌতম ঘোষ বলেন, ভারত চায় বাংলাদেশের বিনিয়োগ এখানে আসুক। ব্যবসা-বাণিজ্যের অবাধ প্রসারের জন্য কানেক্টিভিটি জরুরি। আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতা দ্রুত বাড়ছে। এতে পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট আরও সহজ হবে।

এসময় পদ্মা সেতু উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা-রুপির এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানির বিষয়টা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে জিনিসটা এতটা সহজ নয়। শুধু একটা দেশের জন্য এটা করাটা অনেকটা কঠিন। তবে এটা যদি হয় তাহলে সেটা দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো হবে এবং সেক্ষেত্রে ডলারের ওপর চাপ কিছুটা কমবে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশের যে কয়টা বড় কোম্পানির সম্ভাবনা আছে তার মধ্যে একটা প্রাণ। শুধু সেভেন সিস্টার্স না, দিল্লিসহ অন্যান্য বড় বড় যে রাজ্য আছে সেখানেও প্রাণের একটা বড় সম্ভাবনা আছে।

এসময় তিনি নিজে প্রাণের পণ্য কেনেন বলেও জানান।

বাংলাদেশের বন্দর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বেনাপোল-পেট্রাপোলসহ কিছু বন্দরের যে সুবিধা নেওয়ার তার সবটুকু সুবিধা আমাদের অলরেডি নেওয়া হয়ে গেছে। এখান থেকে নতুন কিছু আর নেওয়ার নেই। এখন এটাকে বাদ দিয়ে আরও যে বন্দর আছে সেগুলো অ্যাকটিভ করতে হবে। অন্য বন্দরগুলোর ডেভেলপমেন্ট করতে পারলে ভালো।

‘পাশাপাশি ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য আমাদের নদীপথগুলোকে ব্যবহার করতে পারি। সেই জিনিসটা বেশি এক্সপ্লোর করা যায়। বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে কিছু কাজ করতে পারে, কিছু প্রদর্শনী এরই মধ্যে হয়েছে। এ ধরনের কিছু বিজনেস প্রোগ্রাম করা যেতে পারে। এরই মধ্যে কয়েকটা হয়েছে, আরও এগুলো করা উচিত যৌথভাবে। এতে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা এদেশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বেশি বাড়বে।

এএসএ/বিএ/জিকেএস