বাংলাদেশের সংগীত জগতের অনন্য এক নাম সমরজিৎ রায়। দুই বাংলার গানেই বিচরণ তার। ক্লাসিক গানের চর্চাতেই বেশি আনন্দ পান। তবে বৈচিত্রময় ধাঁচ ও আমেজের গান করে থাকেন তিনি। এই সময়ের জনপ্রিয় ও গুণী সংগীতশিল্পীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তিনি নতুন গান নিয়ে হাজির হলেন।
Advertisement
গাইলেন এ প্রজন্মের তরুণ কণ্ঠশিল্পী পিজিত মহাজনের সুরে।
এ গানের কথা লিখেছেন শেখ নজরুল। সংগীত আয়োজন করেছেন রিয়েল আশিক। গানটি প্রকাশ হবে ভিডিওতে। এটি নির্মাণ করছেন পিজিত মহাজনই।
ঈদ উপলক্ষে চাঁদ রাতে গানটি প্রকাশিত হয়েছে এইচ এম ভয়েসের ইউটিউব চ্যানেলে।
Advertisement
সমরজিৎ এর সংগীত জীবনের প্রথম গুরু হলেন চট্টগ্রাম আর্য্য সংগীতের উপাধ্যক্ষ পন্ডিত নির্মলেন্দু চৌধুরী। এরপরে তিনি দিল্লীতে সংগীত শিক্ষা লাভ করেন ভারতের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ পদ্মশ্রী পন্ডিত মধুপ মুদ্গল এবং পদ্মভূষণ পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে। তাছাড়া ভারতে বিভিন্ন সময়ে সংগীতে তালিম নেন হৈমন্তী শুক্লা, পদ্মা দেবী, পন্ডিত সারদা প্রসন্ন আচার্য্য, পন্ডিত সুধাংশু বহুগুণা এবং শ্রী সন্দীপ শ্রীবাস্তবের কাছে।
ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে দিল্লীর গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয় থেকে সংগীতে উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন তিনি। তাছাড়া তিনি ভারতের চন্ডীগড়ের প্রাচীন কলাকেন্দ্র থেকেও তবলা এবং শাস্ত্রীয় সংগীতের (কণ্ঠ) উপর ‘সংগীত বিশারদ’ ডিগ্রী প্রাপ্ত হন।
সারা ভারতবর্ষের গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয়ের সংগীত বিশারদের চূড়ান্ত পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে তিনি অর্জন করেন বেশ কিছু সাম্মানিক এওয়ার্ড। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পন্ডিত ডি.বি পলুস্কর এওয়ার্ড, হরি ওম ট্রাস্ট এওয়ার্ড, সঙ্গীতা বসন্ত বেন্দ্রে এওয়ার্ড, সুশীলা এওয়ার্ড, বাসুদেব চিন্তামন এওয়ার্ড, নলিনী প্রতাপ কানবিন্দে এওয়ার্ড, সুখবর্ষা রায় এওয়ার্ড ইত্যাদি।
সমরজিৎ এর প্রথম হিন্দি এলবাম 'তেরা তসব্বুর' ২০১১ সালে ভারতের জিমা এওয়ার্ডে ‘সেরা জনপ্রিয় এলবাম’ বিভাগে মনোনয়ন পায়।
Advertisement
এলএ/এমএস