লাইফস্টাইল

বর্ষায় বাড়ে কলেরার ঝুঁকি, এর লক্ষণ কী কী?

বর্ষায় মশাবাহিত ও পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে। ঠিক একইভাবে বর্ষায় বেড়ে যায় কলেরা রোগও। ভিব্রিও কলেরি নামক এক ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে এই রোগের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

পানীয়ের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে কলেরা। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির বর্জ্য পানিতে মিশে সহজেই ছড়িয়ে পড়ে কলেরার জীবাণু। অপরিচ্ছন্নতা এই রোগের ঝুঁকি আরও বাড়ায়।

কলেররা লক্ষণ কী কী?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, তীব্র জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, আকস্মিক তীব্র জলশূন্যতা, মাথা ঘোরানো, বমিভাব, হজমের সমস্যা, নিম্ন রক্তচাপের মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায় এই রোগে।

Advertisement

একবার ব্যাকটেরিয়া দেহে প্রবেশ করলে উপসর্গ দেখা দিতে সময় লাগতে পারে ১২ ঘণ্টা থেকে ৫ দিন। এই ব্যাকটেরিয়া এক ধরনের এন্টেরোটক্সিন তৈরি করে, যা তীব্র জলশূন্যতা তৈরি করতে পারে। সময় মতো চিকিৎসা না হলে, রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

প্রতিরোধের উপায় কী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, কলেরা থেকে বাঁচলে চাইলে অবশ্যই পানির বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতে হবে। ফোটানো পানি পান করতে হবে। বাইরের খাবার, কাটা ফল কিংবা দুগ্ধজাত পদার্থ এড়িয়ে চলুন। এক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও খুবই জরুরি।

কলেরার ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সঙ্গে খেতে হবে পর্যাপ্ত পানি ও ‘ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন’ বা ‘ওআরএস’। চিকিৎসকরা প্রয়োজনমতো অ্যান্টি-বায়োটিক জাতীয় ওষুধ দিতে পারেন।

Advertisement

সূত্র: সিডিসি/ওয়েবএমডি

জেএমএস/জেআইএম