দেশের প্রথম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ২৪ তলা বিশিষ্ট এ সেন্টার শনিবার (৩০ জানুয়ারি) উদ্বোধন হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী ছাড়াও বিশ্বমানের সব সুযোগ সুবিধা থাকবে এটিতে। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে বড় ভূমিকা পালন করবে এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার। এর মাধ্যমে বিশ্বের ৩২৭টি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হচ্ছে বন্দরনগরী।২৯৮ ফুট উচ্চতার এ ভবন চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ ভবন। ২০০৬ সালে এ ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও সময় লেগেছে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। বিশ্বের অন্য সব ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের মতো সব নিয়ম-কানুন মেনেই নির্মাণ করা হয়েছে এটি। চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিপণনের জন্য দেশের উৎপাদিত সব পণ্য থাকবে একই ছাদের নিচে। এরইমধ্যে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সনদও নিয়েছেন এর উদ্যোক্তারা।চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ এমপি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারকে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির একটি নিদর্শন হিসেবে দেখা হয়। নিউইয়র্ক, টোকিও, প্যারিসসহ পৃথিবীর সকল বড় বড় শহরে ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার পাবেন।নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় ৭৫ কাঠা জমির ওপর নির্মিত ছয় লাখ ৭৮ হাজার বর্গফুটের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ব্যাংক, এক্সিবিশন হল, শপিং মল, ফুড কোর্ট, আইজি জোন, কনভেনশন হল, সভাকক্ষ, ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, হেলথ ক্লাব, ব্যাংকোয়েট হল, বিলিয়ার্ড রুম, স্নুকার রুম, টেনিস কোর্ট ও সুইমিং পুল থাকছে। ভবনের দশম থেকে ২০তলা পর্যন্ত পাঁচ তারকা হোটেলের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ভবনের ২১ তলায় থাকছে হেলিপ্যাড।চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘কোনো ধরনের ব্যাংকঋণ ছাড়াই প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার নির্মাণ করে আমরা প্রমাণ করেছি আন্তরিকতা থাকলে ভালো কিছু করা সম্ভব। এটি হবে দেশের গর্ব। যা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।’এদিকে চেম্বারের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে স্বপ্নের এ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে ৫ দিনব্যাপি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম চেম্বার।জীবন মুছা/বিএ
Advertisement