ফিচার

নাসায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানী কে এই লামীয়া?

মহাকাশের দুর্দান্ত রঙিন ছবি দেখে সম্প্রতি চোখ জুড়িয়েছে বিশ্ববাসী। এবারই প্রথম মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসার আলোচিত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

Advertisement

জেমস ওয়েব বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী টেলিস্কোপ। যেটি ২০২১ সালে সফলভাবে মহাকাশে প্রেরণ করে। ১০ বিলিয়ন ডলারের নাসার ফ্ল্যাগশিপ মিশনখ্যাত জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপটি হাবল টেলিস্কোপের উত্তরসূরি।

গত বছর ২৫ ডিসেম্বর এটি মহাকাশে পাঠানো হয়। প্রথম প্রকাশ পাওয়া জেমস ওয়েবের তোলা ঐতিহাসিক ছবিটির বিশেষত্ব হলো, এটি ৪৬০ কোটি বছর আগের সুদূর মহাবিশ্বের ছায়াপথগুচ্ছের ছবি।

হোয়াইট হাউসের একটি ইভেন্টে মহাকাশের ছবিগুলো উন্মোচন করার মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুহূর্তটিকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘এটি আমাদের মহাবিশ্বের ইতিহাসে একটি নতুন উইন্ডো’।

Advertisement

মহাকাশের রঙিন ছবিগুলো জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের প্রথম ‘ফুল-কালার ডিপ ফিল্ড ইমেজ’। একই সঙ্গে মানবজাতির ইতিহাসে দূর মহাবিশ্বের ‘ডিপেস্ট’ (গভীরতম) ও ‘শার্পেস্ট’ (সুস্পষ্ট) ইনফ্রারেড ছবি।

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (জেডব্লিউএসটি) প্রকল্পের সঙ্গে কাজ করছেন ১০০০ জনেরও (বিভিন্ন দেশের) বেশি জ্যোতির্বিজ্ঞানী। তাদের মধ্যে একজন হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী লামীয়া আশরাফ মওলা। কানাডার ১৫ সদস্যের দলে তিনিই একমাত্র বাংলাদেশি।

পেশায় তিনি একজন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট। লামীয়া ২০২০ সাল থেকে জেডাব্লিউএসটি’তে কানাডিয়ান দলের সঙ্গে কাজ করছেন। তিনি জানান, গ্যালাক্সির কাঠামো অধ্যয়ন করার জন্য পাইপলাইন বিশ্লেষণ তৈরির কাজ তিনিই করেছেন।

ওয়েলেসলি কলেজ থেকে জ্যোতির্পদার্থবিদ্যায় স্নাতক অর্জন করেন লামীয়া। ২০২০ সালে ফেলো হিসেবে কানাডার ডানল্যাপ ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের সঙ্গে কাজ করেন। এর আগে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার পিএইচডিও সম্পন্ন করেন তিনি।

Advertisement

লামীয়া ঢাকার শান্তিনগরে বড় হয়েছেন। তিনি উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এ লেভেল পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি নিউরোসায়েন্সে মেজর করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তবে জ্যোতির্পদার্থবিদ্যা নিয়েই পরবর্তীতে পড়েন তিনি।

জেএমএস/জিকেএস