দেশজুড়ে

মোমবাতির আলোয় সহিংসতার প্রতিবাদ

ঘড়ির কাটায় ঠিক সন্ধ্যা ৬টা। শিশুদের জ্বালানো ১২৫টি ‘মোমবাতি’র আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর। গত ১২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চালানো সহিংসতার প্রতিবাদ জানাতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ মোমবাতি প্রজ্জলনের আয়োজন করে জেলা নাগরিক ফোরম। এতে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শতাধিক ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকরা অংশ নেন।জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে মোমবাতি প্রজ্জলন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, সুজনের সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম শিবলী, সংস্কৃতি কর্মী আল আমিন শাহীন প্রমুখ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, অন্ধকার অশুরের প্রতীক, তাই অশুরকে বধ করে সুরের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে এবং মৌলবাদীদের মধ্যে যে অন্ধকার ও অশুভ শক্তি লুকিয়ে আছে সেই অশুভ শক্তিকে দূর করে আলো যেন পুষ্পরিত হয় সেজন্যই এই মোমবাতি প্রজ্জলন। এসময় বক্তারা ১২ জানুয়ারি শহরজুড়ে চালানো সহিংসতার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, দৈনিক যায়যায়দিনের প্রতিনিধি বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সময় টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান উজ্জল চক্রবর্তী প্রমুখ।উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গণ ও ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বেশ কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ মাদ্রাসাছাত্র ও একটি সুযোগ সন্ধানী দল।আজিজুল আলম সঞ্চয়/ এমএএস/পিআর

Advertisement