থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় অনেকেই ভোগেন। জীবনধারণের অনিয়ম এই রোগে মূল কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, ওজন বেড়ে বা কমে যাওয়া, চুল পড়া, ত্বকের উজ্জ্বলতা হারানোর মতো উপসর্গ প্রকাশ পায় থাইরয়েডের সমস্যায়।
অনেকেই প্রথমদিকে হয়তো এ বিষয়টি টের পান না, তবে সমস্যা বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের কাছে দৌড়ান সবাই। সময় থাকতে থাইরয়েডের চিকিৎসা না করালে, তা বড় আকারও ধারণ করতে পারে।
থাইরয়েডের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী হলেও জীবনধারণে পরিবর্তন আনলে খুব সহজেই এই সমস্যার মোকাবিলা করা সম্ভব। এর পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণের ওষুধও খেতে হবে।
Advertisement
তবে খেয়াল রাখতে হবে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার পর ভুলে কয়েকটি খাবার গ্রহণ করবে না। তাহলে ওষুধের গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন-
>> বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াজাতীয় কোনো খাবার খেলে থাইরয়েডের ওষুধ ঠিকমতো কাজ নাও করতে পারে। তাই থাইরয়েড থাকলে সয়াবিন, সয়ার দুধ, টফুর মতো খাবার পরিমাপ করে খান।
>> বাঁধাকপি বা ফুলকপি মতো সবজি থাইরয়েডের ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। অনেকেই ওজন ঝরাতে ফুলকপি, ব্রকলি ও কেলপাতার মতো শাকসবজি রাখেন ডায়েটে। তবে থাইরয়েড থাকলে এগুলো বুঝেশুনে খান।
>> ক্যাফেইন এমনিতেই শরীরের নানা রকম ক্ষতি করে। থাইরয়েড থাকলেও অত্যধিক ক্যাফেইন পান করবেন না। বিশেষ করে থাইরয়েডের ওষুধ খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে একেবারেই খাবেন না কফি।
Advertisement
>> থাইরয়েড রোগীদের চিনি বা অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো।
>> প্যাকেটজাত ও প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকে অতিরিক্ত চিনি, লবণ ও তেল। এ ধরনের খাবার থাইরয়েডের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এড়িয়ে যান এসব খাবার।
জেএমএস/জিকেএস