প্রথম ওয়ানডেতে জাসপ্রিত বুমরাহর আগুনে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। পরের ম্যাচেই কঠিন জবাব দিলেন ইংল্যান্ডের বাঁহাতি পেসার রিস টপলি। ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েছেন এ দীর্ঘদেহী বাঁহাতি পেসার।
Advertisement
টপলির রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে রীতিমতো উড়ে গেছে ভারত। অলআউট হওয়ার আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২৪৬ রান। জবাবে ভারত গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৬ রানে। ইংলিশরা পেয়েছে ১০০ রানের জয়, সিরিজে ফিরিয়েছে সমতা। মাত্র ২৪ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েছেন টপলি।
এতোদিন ধরে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল পল কলিংউডের দখলে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন কলিংউড। এরপর ক্রিস ওকস ৪৫ ও ৪৭ রান খরচায় ৬ উইকেট। তাদেরকে ছাড়িয়ে গেলেন ২৮ বছর বয়সী টপলি।
লর্ডসে ২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ডেভিড উইলি ও রিস টপলির তোপে মাত্র ৩১ রানেই ৪ উইকেট হারায় ভারত। রানের খাতাই খুলতে পারেনি রোহিত শর্মা ও রিশাভ পান্ত। শিখর ধাওয়ান ৯ ও বিরাট কোহলি করেন ১৬ রান। আউট হওয়ার আগে বেশ সাবলীলই মনে হচ্ছিল কোহলিকে।
Advertisement
এরপর সুর্যকুমার যাদব ২৭, হার্দিক পান্ডিয়া ২৯, রবিন্দ্র জাদেজা ২৯ ও মোহাম্মদ শামি ২৩ রান করলেও তা ছিল চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। টপলির ৬ উইকেট ছাড়াও একটি করে উইকেট নিয়েছেন ডেভিড উইলি, ব্রাইড কারস, মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে লেগস্পিনার ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের ঘূর্ণি তোপের মুখে পড়ে ইংলিশরা। বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ শামিদের বোলিং তোপ সামলে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ড ২৪৬ রান সংগ্রহ করতে পেরেছে। তবু ১ ওভার বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে তারা।
ইয়ুজবেন্দ্র চাহাল ৪ উইকেট পেয়েছেন। বুমরাহ এবং হার্দিক পান্ডিয়া নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। মোহাম্মদ শামি এবং প্রাসিদ কৃষ্ণা একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
ব্যাট করতে নেমে ইংলিশদের কোনো ব্যাটারই সঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছে তাদের। মইন আলি সর্বোচ্চ করেন ৪৭ রান। ডেভিড উইলি করেন ৪১ রান। জনি বেয়ারেস্টো করেন ৩৮ রান। লিয়াম লিভিংস্টোন করেন ৩৩ রান। ২১ রান করেন বেন স্টোকস। ২৩ রান করেন জেসন রয়।
Advertisement
এসএএস/জিকেএস